ব্যবহৃত ক্যামেরা

ঢাকায় এখন বেশ কিছু দোকান হয়েছে এলিফ্যান্ট রোড / মিরপুরে যেখানে কেবল বিদেশ থেকে আমদানী করা ব্যবহৃত ডিএসএলআর ক্যামেরা পাওয়া যায়। ইউটিউব, ফেসবুক, টিকটক সহ নানা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও আপলোড করার ব্যাপারে আগ্রহ অনেক বেড়েছে। আর তাই এসব ক্যামেরার চাহিদাও আছে। 

ইউটিউবে ক্যামেরা সংক্রান্ত ভিডিও দেখছিলাম। বলা হচ্ছে মাত্র ৫ হাজার টাকায় পাবেন ডিএসএলআর ক্যামেরা বডি। সাথে ১০ বছরের সার্ভিস ওয়ারেন্টি, ১০ বছরের শাটার রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি, ১ মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি (যদি কোন ফিজিক্যাল ড্যামেজ না হয়)।
 
আগ্রহ নিয়ে পুরো ভিডিও দেখলাম। ৫ হাজার টাকায় দিচ্ছে ক্যাননের ১১০০ডি বডি। সাথে আবার কিছু গিফট আছে – একটি ভি ব্যাগ, একটি ক্যামেরা ক্লিনিং কিট, লেন্স হুড এবং ফিল্টার, ৩২ জিবি মেমরি কার্ড এবং স্ক্রিন প্রটেক্টর।
 
আরো বেশ কিছু ক্যামেরা বডি আছে বিভিন্ন দামের। সেলারের বক্তব্য অনুযায়ী কন্ডিশন অনুযায়ী দামের তারতম্য হয়। কন্ডিশন বলতে কি বুঝায় ? সেলার ক্যামেরা ঊল্টে-পাল্টে দেখালেন বডি কতটুকু পরিস্কার পরিচ্ছন্ন বা চকচকে।
 
অথচ ব্যবহৃত ক্যামেরা কিনতে গেলে প্রথমেই দেখতে হয় এর শাটার কাউন্ট কত। অথচ সেলার এব ব্যাপারে একদম নিরব। ডিএসএলআর ক্যামেরা বডির ক্ষেত্রে ষ্ট্যান্ডার্ড শাটার কাউন্ট ধরা ১.৫-৩ লাখ। একবারে এন্ট্রি লেভেল ক্যামেরার ক্ষেত্রে ১.৫ লাখ আর প্রফেশনাল বডির ক্ষেত্রে ৩ লাখ। এই শাটার কাউন্ট পুরো হলেই যে আপনার ক্যামেরা নষ্ট হয়ে যাবে তা নয়। হয়তো দেখা গেলো আরো ১ লাখ শাটার কাউন্ট যোগ হলো, ক্যামেরা বহাল তবিয়তে থাকলো। কিন্তু নষ্ট হলে কিছু বলার নাই। সেই সাথে সেন্সরের কোয়ালিটি হয়তো ড্রপ করে, আগের মতো কালার হয়তো পাবেন না।
 
সুতরাং এসব সেকেন্ড হ্যান্ড ক্যামেরা কিনতে গেলে বুঝে কিনবেন। স্কুলের কোন বাচ্চাকে ফটোগ্রাফি শেখার জন্য একটা ক্যামেরা দিতে চান, কিনতে পারেন। এটা সম্পূর্ণই আপনার সিদ্ধান্ত।
 
হ্যাপি ক্লিকিং

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।