এআই আর্ট জেনারেটর

আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স দিয়ে আর্ট / ছবি জেনারেট করা নিয়ে একটা ব্লগ পোষ্ট লিখেছিলাম কিছুদিন আগে। ব্যাপারটায় আমি বেশ মজা পাচ্ছি। প্রতিদিনই এই এআই আর্ট জেনারেটর নিয়ে কিছু না কি গুগল করি। আর টুকটাক ছবি জেনারেট করি নানা প্ল্যাটফর্মে। আপাময় জনসাধারণ অবশ্য অসাধারণ সব ছবি উৎপাদন করছে এই সব প্ল্যাটফর্মে। মিডজার্নিতে আমার ফ্রি একাউন্ট এর মেয়াদ শেষ। এরপর একজন এর পরামর্শে DALL-E 2.0 উইশলিষ্টে  নাম তুলেছিলাম। ২ দিন বাদেই এক্সেস পেয়েছি। এটাও ফ্রি একাউন্ট, প্রথম মাসে ৫০টি এবং পরবর্তী প্রতি মাসে ১৫টি করে ছবি জেনারেট করা যাবে। তবে এর কিছু নিয়ম-কানুন আছে। যেমন আমি কোন টার্মস না পড়েই জনৈকা নায়িকার ছবি জেনারেট করতে চেয়েছিলাম। সাথে সাথেই ওয়ার্নিং। পরে ইউটিউবে ভিডিও দেখে মেরিলিন মনরোর ড্রেস চেষ্ট করতে গিয়েছিলাম। সেখানেও বাগড়া দিলো। 

দুই দিন আগে হঠাৎ করে ক্রেয়ন নামে আরেকটি আর্ট জেনারেটর এর খবর পেলাম। এটির কোন রেজিষ্ট্রেশন লাগে না। কেবল ওয়েব সাইট বা এপ ওপেন করে কিওয়ার্ড দিয়ে বাটন চাপলেই কাজ শুরু করে দেয়। এর মধ্যে অবশ্য বেশ কিছু বিজ্ঞপন দেখতে হয়। তবে ছবি জেনারেট করতে খূব বেশী হলে দুই মিনিট সময় লাগে, বেশীরভাগ ক্ষেত্রে মিনিট খানেকের মধ্যেই জেনারেট করে। এর ফটো রিয়েলিষ্টিক ছবিগুলোতে কিছু ডিস্টর্শন থাকে। হয়তো দেখা যাবে চোখ একটা বামে তো আরেকটা ডানে। কিংবা মুখ হয়তো বাঁকা। তারপরও দুই-একটা বেশ ভাল ছবিও পাওয়া যায়। 

সেদিন DALL-E কে জানালাম গোলাপি ড্রেস পরা একজন মহিলা চন্দ্রপৃষ্টে দাড়িয়ে দূরের নীল পৃথিবীর দিকে তারিকে আছে এরকম একটা ছবি দরকার। সে এই ছবিটি তৈরী করলো 

ড্রেস চেঞ্জ করার বিষয়টা ভাল ছিলো, কিন্তু টার্মস আটকে দেয় বলে করা গেলো না। এমন কি নিজের ছবি দিয়েও করা যায় না। শেষতক নিজের ছবির কার্টুন দিয়ে ট্রাই করলাম। ছবি তুলেছিলাম স্যান্ডো গেঞ্জী পরে। তাই চিন্তা করলাম এটাকে স্যুট-টাই পরানোর ব্যবস্থা করা যাক। ৪টি ফলাফল
যেটা পছন্দ হয়েছে

সেদিন Craiton থেকে জেনারেট করলাম এই ছবি

ভবিষ্যতে এই এআই নির্ভর আর্ট জেনারেশ কোথায় নিয়ে যাবে জানি না, তবে নিজের কল্পনাকে বাস্তবে মানে কম্পিউটারের মনিটরে দেখতে কিন্তু খারাপ লাগছে না। 

আপনিও চেষ্টা করে দেখূন।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।