ওজন এবং অন্যান্য

অবশেষে ওজন কমতে শুরু করেছে। আজ ভোরে সেহরির আগে মাপলাম ৭৮.৯৫ কেজি। দুপুর ১২টার দিকে খালি পেটে ৭৮.৫ কেজি। রোা শেষ হলে আবার নিয়মিত হাটাহাটি শুরু করলে হয়তো আরো কমবে। রোজার শুরুতে ইফতারির পর আধ ঘন্টা বাসার সামনে হেটেছি কয়েকদিন। 

৩১শে ডিসেম্বর তারিখে কয়েকটি টেষ্ট করি। প্রথমটি ছিলো HbA1c, ব্লড সুগারের ৩ মাসের গড় বের হয়। এটার রেজাল্ট ছিলো এলার্মিং। আগের ৩ মাসের গড় ব্লাড সুগার ছিলো ৮%, অথচ আমি এর আগে সবসময়ই ৬.৫ পেতাম। কোন ফাঁকে এটা বেড়েছে টেরই পাই নাই। 

আরেকটা টেষ্ট ছিলো RBC, এটার রেজাল্ট স্বাভাবিক ছিলো।

সব শেষ পরীক্ষা ছিলো LIPID Profile, মূলত TG এর অবস্থা জানার জন্য। আমার এই TG আগেও বেশী ছিলো। এবারের রেজাল্টও ও বেশী আসছে। ৮০০, স্বাভাবিক মাত্রা ৫০-২০০ হওয়ার কথা। ভাতের সাথে এই TG উঠানামার একটা সম্পর্ক আছে। ভাত বেশী খেলে TG বাড়ে, কম খেলে কমে।

এরপর শুরু হলো হাটাহাটি, খাদ্য নিয়ন্ত্রন এবং মাঝে মধ্যে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ। রাত্রে ভাত খাওয়া বাদ দিলাম। ওজন কমার গতি খূবই ক্ষীন। মাস দেড়েক ধরে ওজন ৮০ কেজির ঘরে ঘুরপাক খাচ্ছিলো। শেষ পর্যন্ত দূপুরের ভাত ও বর্জন করলাম। 

সকালে ২/৩ পিস আটার রুটি, সবজি ভাজি আর একটা ডিম। সাথে এক কাপ চা। দূপুরের আগে একবাটি ফল (পেয়ারা, কমলা, আপেল ইত্যাদি)। দূপুরে সবজি ভাজি / শাক, এক টুকরো মাছ আর ডাল। বিকালে নাস্তা এক একদিন এক একটা। কোনদিন হয়তো কেবল বিস্কুট আর চা, কোনদিন হয়তো পাস্তা আর চা বা অন্য কিছু। রাতে ২/৩ পিস আটার রুটি, সবজি ভাজি, ২ টুকরা মুরগীর মাংস আর ডাল। শুক্রবার সকালে অবশ্য সকালের নাস্তা খিচুরী। আর ঘরে বা বাইরে দাওয়াত থাকলে চেষ্টা করি ভাত / পোলাও / বিরিয়ানী সামান্য নিতে। 

গত ৩১শে মার্চ আবার টেষ্টগুলো করলাম। ব্লাড সুগার ৫.৬% আর TG ৩৫২ তে নেমে এসেছে। বাকিগুলো আগের মতোই আছে বা সামান্য হেরফের হয়েছে। 

আশা করি জুনের ৩১ তারিখে আবার টেষ্ট করবো। তখন হয়তো সবকিছুই স্বাভাবিক হবে। 

ভাল থাকুন নিরন্তর।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।