করোনা কাল ৯

করোনার এই সময় আজই প্রথম লম্বা সময়ের জন্য বের হয়েছিলাম। উদ্দেশ্য ব্যাংক থেকে টাকা তোলা৷ সোনালি ব্যাংকের ডেবিট কার্ডের জন্য কখনও আবেদন করি নাই। কারন ব্যাংক থেকে ৬ মাসে, ৯ মাসে হয়তো একবার টাকা তুলি। যাই হোক।
 
গতকাল সপ্তাহের প্রথম দিন, ভীড় হবে এই চিন্তা করে যাই নাই। আজ সকালে আব্বার ডায়পার বদল করে দশটা বাজার আগেই বের হলাম, যাতে সাড়ে এগারোটার মধ্যে ফিরতে পারি। গিয়ে দেখি উত্তরা ব্র্যাঞ্চ রবি / মঙ্গল / বৃহস্পতিবার সকাল ১০-১টা পর্যন্ত খোলা। সোম / বুধবার উত্তরখান / কুর্মিটোলা ব্র্যাঞ্চে যেতে বলা হয়েছে। উত্তরখান ব্র্যাঞ্চের সম্ভাব্য লোকেশন নিয়ে আজমপুর থেকে রিকশায় রওনা হলাম। রিকশা চলছে তো চলছেই, সোনালী ব্যাংক আর চোখে পরে না। লোকজন’কে জিজ্ঞাসা করলে বলে ঐ তো, আরেকটু সামনে। অবশেষে পৌছালাম। ভাড়া দিয়ে ব্যাংকে ঢোকার মূখেই দেখি লাইন। ব্যাংক হলো দোতালায়। একদম পিছনে সিড়ি। একটু একটু করে যখন সিড়ির মূখে আসলাম তখন বিদ্যুৎ চলে গেলো, আসলো ২০/২৫ মিনিট পর। আবার যখন দোতালার ল্যান্ডিং এ তখন আবার বিদ্যুৎ গেলো। আমি মোটামুটিভাবে ধৈর্যের অবতার হয়ে লোকজনের কথাবার্তা শুনতেছি। সবাই মোটামুটি নিয়ম মেনেই চলছিলো, মাঝে মধ্যে কেবল এক আধজন এটা সেটা বলে নিয়ম ভাঙ্গার চেষ্টা করে। বিদ্যুৎ আসলো পাক্কা একঘন্টা পর। বিল্ডিং এ কোন জেনারেটর নাই। ব্যাংকের আইপিএস/ইউপিএস এর ব্যাটারী নাকি বাতিল হয়েছে অনেকদিন আগেই।
 
সকাল সাড়ে দশটা থেকে দাঁড়িয়ে, অবশেষে ১:৪৫ মিনিটের দিকে ব্যাংকে ঢুকতে পারলাম। ২টায় টাকা নিয়ে বাসার দিকে রওনা হলাম।
 
ভাবতেছি টাকা লাগুক আর নাই লাগুক, বাসায় একটা বড় এমাউন্ট ক্যাশ রাখতে হবে। সমস্যা হলো টাকা থাকলে অনলাইনে কেনাকাটা করতে ইচ্ছে করে।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।