করোনার কেনাকাটা

করোনাকালীন সময়ে কেনাকাটা কেবল নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসে সীমাবদ্ধ ছিলো। তবে কিছু জিনিস এই সময়ে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছিলো। যেমন স্যানিটাইজার, হ্যান্ডওয়াশ, এন্টিসেপটিক, হ্যান্ড গ্লাভস আর মাস্ক। এর বাইরেও অবশ্য অনেকে অনেক কিছু কিনেছেন। তবে আমাদের বাসায় এগুলোই কেনা হয়েছে। সেই সাথে ছিলো সাবান, যা সবসময়ই কেনা হয়। আরো্র একটা জিনিস ছিলো ক্রয় তালিকায় – ব্লিচিং পাউডার।

বেশ অনেকদিন আগে দারাজের ফ্ল্যাশ সেলে একটা মাস্ক কিনেছিলাম ৪০ টাকা দিয়ে। সেটি অব্যবহৃত অবস্থাতেই ছিলো। করোনার প্রাদূর্ভাব হওয়ার পর প্রথম সেটিই ব্যবহার শুরু করি। করোনার সময় এইসব মাস্কের দাম বেড়ে কয়েকগুণ হয়ে যায়। সেই সাথে বাজারে আসতে থাকে মানহীন সব পণ্য।

একদিন ফুটপাথ থেকে দেশী কয়েকটি মাস্ক কিনেছিলাম ৩০ টাকা করে। এগুলো কিনেছিলাম কেবল ঠেকা কাজ চালানোর জন্য। বাসায় কিছু সার্জিক্যাল মাস্ক কেনা হয়েছিলো। দাম বাড়তি থাকায় আর কোন মাস্ক কেনা হয়নি। আর বাসার লোকজনের বাইরে যাওয়ার খূব একটা প্রয়োজন পরে নাই। চাকুরিজীবিরা ঘরে বসেই অনলাইনে কাজ করছিলেন। আমার অবম্য মাঝে মধ্যে বাইরে যেতে হয়েছে এবং এখনও হয়। বাসায় আব্বা-আম্মার ঔষধ, ডায়পার এসব কেনার জন্য।

কয়েকদিন আগে বিডিশপ.কম ১০ পিসের KN95 মাস্ক ৭৫০ টাকায় অফার করে। পরে আবার একই জিনিস ৬৫০ টাকায়। আমি দুইবারই কিনেছি। বলা হচ্ছে এটিতে ৪ স্তর আছে। তবে উপর এবং ভিতরের অংশ নন-উভেন ম্যাটেরিয়ালে তৈরী। ভিতরের দিকে কোন প্যাড নেই, দারাজের ৪০ টাকা দামের মাস্কে যেটা ছিলো। ফলে এটি ব্যবহারে ততো কমফোর্ট ফিল হয় না। আমি হয়তো একনাগারে সর্বোচ্চ ঘন্টাখানেক এটি ব্যবহার করেছি। আমি এমনিতেই বেশ ঘামি, তারপর যে কোন মাস্ক ব্যবহারে ঘাম আরো বেশী হয়। তারপরও চেষ্টা করেছি রুমাল ব্যবহার না করতে বা মুখে হাত না দিতে। আপাতত নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভাল। আর কতোদিন করোনার এই অবস্থা চলবে আমরা কেউ জানি না। আমার মতো যাদের প্রতিদিন বাইরে যেতে হয় না, তাদের জন্য এই মাস্কটি ভাল।

বিডিশপের অফারগুলো সম্পর্কে জানতে চাইলে তাদের ফেসবুক গ্রুপে নজর রাখতে পারেন। আর তাদের ওয়েব সাইটে সব পণ্যের খবর তো পাবেনই।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।