গুমনামি বাবা

কিছু মানুষের মতে গুমনামি বাবা একজন প্রতারক, একজন সাধারণ প্রবঞ্চক।কিছু মানুষের বিশ্বাস তাঁর রাশিয়ায় মারা যাওয়ার ঘটনা গোপন করার জন্য আইবি এর নিয়োজিত এক গুপ্তচর। আর বাকিদের কাছে গুমনামি বাবা আর কেউ নন – ভারতের প্রকৃত মুক্তিদাতা এবং সম্ভবত ভারতের সর্বশ্রেষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু।

– এটা ছিলো চলচ্চিত্রটির একদম শেষাংসে পর্দায় ভেসে ওঠা কিছু কথা। শুরুতেও কিছু ছিলো। নেতাজীর অন্তর্ধান নিয়ে বেশ কিছু মিথ আছে। সরকারী ভাবে বলা হয়ে থাকে তিনি ১৯৪৫ সালের ১৮ই আগষ্ট তদানিন্তন ফরমোজার তাইহোকু এয়ারড্রোমে এক বিমান দূর্ঘটনায় মারা যান। দ্বিতীয় আরেকটি মিথ হলো এই বিমান দূর্ঘটনার খবর ছিলো সাজানো এবং তিনি এরপর রাশিয়ায় চলে যান এবং সেখানেই এক নাম না জানা কারাগারে মৃত্যুবরন করেন। আর তৃতীয় মিথ হলো এই সাজানো বিমান দূর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে দিয়ে রাশিয়ায় পালিয়ে যান এবং সেখান থেকে নানা জায়গা ঘুরে আবার ভারতেই চলে আসেন একজন সন্ন্যাসী হিসেবে। সেই সন্ন্যাসী হলেন গুমনামি বাবা। ১৯৮৫ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় গুমনামি বাবার। অযোধ্যার গুপ্তার ঘাটে ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৮৫-এ তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

আমি আগাগোড়া উপভোগ করেছি এই চলচ্চিত্রটি। আমাজন প্রাইম ভিডিও’তে যে অল্প কিছু বাংলা চরচ্ছিত্র আছে এটি তার মধ্যে অন্যতম। আমি অবশ্য নাম দেখে কিছুই বুঝতে পারি নাই। পরে দেখতে দেখতে এমনই আগ্রহ জন্মালো যে এখন নেট সার্চ করে সুভাষ চন্দ্র বোস / নেতাজী / গুমনামি বাবা সংক্রান্ত তথ্য পড়ছি। হাতে সময় থাকলে দেখতে পারেন।

ভবিষ্যতে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু’র অন্তর্ধান নিয়ে আরো কিছু লেখার ইচ্ছে আছে।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।