জুয়েলারি : প্রয়োজনীয় টুলস

জুয়েলারী বা গয়না তৈরীর জন্য আপনার কিছু টুলস দরকার হবে। এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের প্লায়ার্স উল্লেখ্যযোগ্য। নিচে সংক্ষেপে এগুলো সম্পর্কে কিছু বলার চেষ্টা করছি

১. ওয়্যার কাটার : ওয়্যার কাটারনামেই পরিচয় – এগুলো দিয়ে বিভিন্ন ধরণের তার কাটা হয়। সুতা / প্যারাকর্ড / ফিশিং লাইন (বাংলাদেশে রক সুতা বলে) ছাড়াও বিভিন্ন পূরুত্বের তামা / এলুমিনিয়াম এর তার ব্যবহার করা হয় জুয়েলারী তৈরীর জন্য। বিশেষ করে ইয়ার রিং (কানের দূল) তৈরীর সময় তারের ব্যবহার সর্বাধিক। শুধূমাত্র তার দিয়েও অনেকে দৃষ্টিনন্দন ইয়ার রিং / হাতের রিং / ব্রেসলেট তৈরী করে থাকেন। আর এসব কাটার জন্য প্রয়োজন ওয়্যার কাটার। সাধারণ ওয়্যার কাটার ১৫০ টাকার মধ্যেই পাবেন।

 

২. রাউন্ড নোজ প্লায়ার্স : রাউন্ড নোজ প্লায়ার্সএই প্লায়ার্সের সামনের অংশটি গোলাকার, মোটা থেকে ক্রমান্বয়ে চিকন হয়েছে। এটি মূলতঃ তার প্যাচানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। তার পেঁচিয়ে হুক / লুপ ইত্যাদি তৈরী করতে পারবেন। প্রয়োজনে ছোট জাম্প রিং ও তৈরী করে নিতে পারবেন। সাধারণ রাউন্ড নোজ প্লায়ার্সের দাম ও ১৫০ টাকার মধ্যেই।

৩. চেইন / ফ্ল্যাট নোজ প্লায়ার্স : এই নোজ প্লায়ার্স গুলো সাধারণত ছোট ছোট আইটেম ধরার জন্য ব্যবহার করা হয়। যেমন – জাম্প রিং। দুটো নোজ প্লায়ার্স দিয়ে আপনি জাম্প রিং এর মূখ খুলতে এবং লাগাতে পারবেন খূব সহজেই। এই জাতীয় সাধারণ নোজ প্লায়ার্সও আপনি ১৫০ টাকার ভিতর কিনতে পারবেন।

৪. ক্রিম্প টুল : এই প্লায়ার্সটি খূব সম্ভবত বাংলাদেশে পাওয়া যায় না। তবে ক্রিম্প বিড এবং ক্রিম্প টুল দু’টোই অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিডস জুয়েলারীর জন্যে। নেকলেস / ইয়ার রিং / ব্রেসলেট এর একদম শেষে হুক আটকানোর আগে একটা লুপ তৈরী করতে হয় সুতা দিয়ে। এই লুপটি আটকানো হয় ক্রিম্প বিড দিয়ে আর এই ক্রিম্প বিড এর জন্য দরকার এই ক্রিম্প টুল।

৫. ছুঁড়ি / কাচি / সুঁই : সময় সময় এসবও আপনার দরকার হবে। তবে এগুলো হয়তো আপনার সংগ্রহে আছেই। এছাড়া স্কেল বা মেজারিং টেপ, চিমটা সহ টুকটাক আরো কিছু জিনিস লাগতে পারে।

হ্যাপি ক্র্যাফটিং

ছবি : সংগৃহিত

 

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।