নতুন ক্যামেরা !?!

কেনার কথা ছিলো ফুলফ্রেম মিররলেস ক্যামেরা। তবে বিস্তর চিন্তা ভাবনার পর আপাতত সেই পরিকল্পনা সাময়িক ভাবে স্থগিত। তবে কিনবো, এবছর না হলেও আগামী বছর। এরই মধ্যে নাইকনের ক্রপড সেন্সরের মিররলেস জেড৫০ ক্যামেরা আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে। ঢাকার বাজারে আসতে হয়তো আরো কিছুদিন সময় লাগবে।

এর মধ্যে কয়েকদিন ধরে মিররলেস ক্যামেরা নিয়ে গুগল করছি, সাথে ইউটিউবে বিভিন্ন ধরণের রিভিউ দেখছি। দেখতে দেখতেই হঠাৎ করেই চোখ গেলে ডিজেআই এর বেশ কিছু প্রোডাক্ট এর দিকে।

আমরা ডিজেআই’কে মূলত চিনি ড্রোন আর গিম্বাল নির্মাতা হিসেবে। তারা তাদের ড্রোন ক্যামেরা আর গিম্বাল কে এক সাথে করে ওসমো, ওসমো পকেট আর ওসমো প্লাস তৈরী করেছে। মানে হলো আলাদা আলাদা ভাবে কোন কিছু কিনতে হবে না, এই ৩টির কোন একটা কিনলে একই সাথে ক্যামেরা এবং গিম্বাল একই সাথে পাবেন। ৩টি প্রোডাক্টই ফেসবুক / ইউটিউব ভিডিও এবং ভ্লগিং এর জন্য ভাল। ঢাকা শহরের কথা চিন্তা করলে ওসমো পকেট খূবই ভাল একটি চয়েস। হাতের তালুতে এটে যায়, পকেটে নিয়ে ঘোরা যায়। ফলে এটলিষ্ট ছিনতাইকারীর দৃষ্টি আকর্ষণ করবে না। বাকি দূটো অপেক্ষাকৃত বড়। তবে সবচেয়ে বড় সূবিধা হলো হাটা চলার সময় ষ্ট্যাবিলাইজেশন নিয়ে একবারেই চিন্তা করতে হবে না। ওসমো আর ওসমো প্লাস প্রায় একই, প্লাসে কেবল জুম ইন-আউট করা যায়। এ’দুটোতেই মোবাইল ফোন এটাচ করার ব্যবস্থা আছে, ক্যামেরার সাথে ওয়্যারলেসলি কানেক্ট থাকে। অন্য দিকে ওসমো পকেট এর সাথে মোবাইল ফোন একটা এডাপ্টার দিয়ে কানেক্ট করতে হয়। সমস্যা হলো এটি আবার ইউএসবি সি টাইপ কানেক্টর, সাধারণ মাইক্রো ইউএসবি কানেক্টর নাই। ওসমো পকেটে ছোট একটি এলসিডি টাচ স্ক্রিণ থাকলেও প্রথমবার একটিভেট করা এবং ফার্মওয়্যার আপডেট করার জন্য মোবাইল ফোন লাগবেই। এটা একটা বড় ডিজএডভান্টেজ। সবার তো আর এপল, স্যামসাং অথবা সি টাইপ কানেক্টর ওয়ালা মোবাইল ফোন নাই। দ্বিতীয় সমস্যা হলো এটিতে কোন এক্সটার্নাল মাইক্রোফোন লাগানোর ব্যবস্থা নাই, ওসমো এবং এসমো প্লাসে অবশ্য এক্সটার্নাল মাইক্রোফোন লাগানোর পোর্ট আছে। অবশ্য ওসমো পকেট এর ইন্টারনাল মাইক্রোফোন ওসমো, ওসমো প্লাস এর চাইতে ভাল। তৃতীয় সমস্যা হলো এর ব্যাটারী ফিক্সড, বাকি দু’টোর ব্যাটারি রিমূভেবল। চতুর্থ সমস্যা ওসমো পকেটের ফিল্ড অফ ভিউ একটু ছোট অন্য দু’টোর চাইতে। তবে ১৫ ডলালের ম্যাগনেটিক ওয়াইড এঙ্গেল লেন্স কিনে নিলেই সেটাও আর থাকে না। তবে সব মিলিয়ে আমার কাছে ডিজেআই ওসমো পকেট ই বেশী ভাল লেগেছে।

দাম : ওসমো এবং ওসমো পকেট এর দাম ৩০/৩২ হাজার টাকা আর ওসমো প্লাস ৪৫ হাজার টাকা। দোকান ভেদে দাম কম বেশী হতে পারে।

বিকল্প : শুধূ ক্যামেরার কথা ধরলে আপনি ডিজেআই ওসমো একশন অথবা গোপ্রো হিরো ৭ এর কথা চিন্তা করতে পারেন। দু’টোর দামই ৩০ হাজারের মতো। ওসমো একশন এ বেশ কিছু এক্সট্রা ফিচার আছে। এটির ইন্টারনাল ষ্ট্যাবিলাইজেশনও ভাল। আর গোপ্রো হিরো ৮ বাজারে চলে আসায় হিরো ৭ এর দাম হয়তো কমবে এবার।

আরেকটি বিকল্প হতে পারে মোবাইল ফোন। সদ্য রিলিজ হওয়া শাউমি রেডমি ৮ এর ফিচারগুলি কিন্তু বেশ। দাম বর্তমানে হাজার বিশেক, তবে কিছুদিন অপেক্ষা করলে দাম ১৫ হাজারের মধ্যে চলে আসবে বলে আশা করা যায়। তবে এর জন্য একটি গিম্বাল লাগবে ষ্ট্যাবিলাইজ করার জন্য, যার দাম হতে পারে ৬ হাজার টাকা থেকে শুরু।

যারা নতুন গিয়ার কিনতে চাচ্ছেন কিংবা আপগ্রেড করতে চাচ্ছেন মোবাইল ফোন থেকে, তারা বিস্তারিত খোজ খবর করতেই পারেন। ইউটিউবে প্রচুর রিভিউ আছে।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।