ফটো প্রসেসিং ফ্রি কোর্স

ডিএসএলআর এ নিয়মিত ছবি তুলছেন, কিন্তু ছবি সেভ করছেন জেইপিজি ফরম্যাটে। ঘটনা হলো ফটো প্রসেসিং করছে কিন্তু আপনার ক্যামেরা। এখানে আপনার কোন কেরামতি নাই। বর্তমানের ডিএসএলআর ক্যামেরাগুলিতে একটা প্রসেসর থাকে যেখানে এই ছবিগুলি প্রসেস হয়। যারা এইসব প্রসেসর তৈরী করেন তারা হয়তো লাখ লাখ ছবির ডেটা সেখানে ইনপুট দিয়ে রাখেন। সেসব ছবি বিবেচনা করেই আপনার তোলা ছবিটি প্রসেস করে। এখন ক্যামেরায় প্রসেস করা ছবি যে সব দিক থেকেই অসাধারণ হবে তেমনটি ভাবার কোন কারণ নেই। তাহলে সমাধান কি ? প্রথম কাজ হলো ছবি র (RAW) ফরমেটে সেভ করা। 

এরপর নিজে নিজে ছবি প্রসেস করতে শেখা। শুরুতেই যে দারূণ কাজ দেখাবেন তা হয়তো না। কালের পরিক্রমায় ধীরে ধীরে আপনার হাত পাকবে নিঃসন্দেহে। কিন্তু শিখবেন কোথায় ? 

শুরুতে অনলাইনেই চেষ্টা করা যেতে পারে। ফ্রি ফটোগ্রাফি কোর্সের মতো এসব কোর্সও ফ্রি পাবেন। ফটো প্রসেসিং এর জন্য আমরা সাধারণত লাইটরুম এবং ফটোশপ ব্যবহার করি। যদিও এসবই পেইড সফটওয়্যার, বাকিটা আর বললাম না।  তবে ফটোশপ মূলত ডিজাইন সফটওয়্যার, ফটো প্রসেসিং তার একটা পার্ট। লাইটরুম শুধূমাত্র ফটো প্রসেসিং / এডিটিং এর জন্য।

১. এডোবি লাইটরুম ক্লাসিক টিউটোরিয়াল

২. এডোবি লাইটরুম সিসি

৩. লইটরুম ওয়ার্কফ্লো

৪. এডোবি ফটোশপ 

৫. এডোবি ফটোশপ এসেনশিয়ালস

ফটোশপ / লাইটরুম ছাড়াও আরো অনেক সফটওয়্যার আছে যা দিয়ে আপনি ফটো প্রসেসিং করতে পারেন। তবে আজকে একটি সফটওয়্যার এর কথা বলবো যেটা দিয়ে ফটো ম্যানিপুলেশন করা যায়। এরকম অনেক এপ হয়তো আপনি আপনার মোবাইল ফোনে অনেক ব্যবহার করেছেন বা করছেন। সফটওয়্যারটির নাম হলো KRITA – ক্রিটা। এটি মূলত ডিজিটাল আর্ট এর জন্য ব্যবহার করা হয়। উইন্ডোজ, ম্যাক এবং লিনাক্সে ব্যবহার করা হয়। এর একটি এন্ড্রয়েড ভার্শনও আছে। মানে আপনি ক্রিটা আপনার মোবাইল ফোন বা ট্যাবেও ব্যবহার করতে পারবেন। এই সাইট থেকে আপনি ক্রিটা ডাউনলোড করতে পারবেন। মোবাইল ফোন বা ট্যাবের জন্য গুগল প্লে ষ্টোরে খোঁজ করুন। ক্রিটা সম্পূর্ণই ফ্রি সফটওয়্যার।

৬. ক্রিটা টিউটোরিয়াল

আরো টিউটোরিয়াল চাইলে গুগল / ইউটিউব / উডেমি তে সার্চ করতে পারেন।

ভাল থাকবেন।

 

 

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।