সাম্প্রতিক ফেসবুক ষ্ট্যাটাস

মাঝে মধ্যে কোন বিষয়ই খূঁজে পাই না। আবার বিষয় থাকলেও পর্যাপ্ত তথ্যও থাকে না। আর এই তথ্য খোঁজা অনেক সময় ব্যাপক কঠিন কাজ মনে হয়। আজ তাই নিজেরই কিছু ফেসবুক ষ্ট্যাটাস এক করে পোষ্ট লিখছি।

২০শে অক্টোবর ২০১৯ ইং

ঘটনা ১. মনে করলাম আমি বেশ আধূনিক, আধূনিক সব গ্যাজেট ব্যবহার করি। কোন জায়গা খূঁজে বের করতে তাই গ্যাজেটই ব্যবহার করবো, রাস্তায় কাউকে কিছু জিজ্ঞাসা না করে। এতোদিন ধরে এই এলাকায় আছি অথচ সেক্টরের পার্ক বা খেলার মাঠ কোনটাই চিনি না।

ঘটনা ২. বিকেলে হাটা বা দৌড়ানো খূবই দরকার। কারণ ওজন আবার বাড়তির দিকে। ৮৯ কেজি থেকে নেমে ৮১ কেজিতে এসেছিলো। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও ৮০ কেজির নিচে আর নামাতে পারি নাই। মাঝে একটু ঢিমে তালে চলায় সেটা আবার ৮৫ কেজিতে চলে এসেছে।ভিলাঘটনা ৩. আজ তাই হাতে ফিটনেস ট্র্যাকার, পকেটে মোবাইলে গুগল ম্যাপস নিয়ে মাঠে নামলাম মানে সেক্টরের পার্ক + মাঠ খূঁজতে বের হলাম। কোন দিকে ধারণা ছিলো, ম্যাপেও দেখেছি। সোজা হাটা দিলাম। কাছাকাছি এসেছি মনে করে পকেট থেকে মোবাইল বের করে মাঠের অবস্থান আর আমার অবস্থান বের করে নিশ্চিন্ত হয়ে নিলাম। আর এরপরই যেটা হলো তাকে বাংলায় বলা চলে দিকভ্রান্ত হলাম। পার্কের দিকে যাচ্ছি মনে করে গুগল ম্যাপস এ দেখি উল্টা দিকে হাটছি। আবার আগের জায়গায়। শেষমেষ এক ডাবওয়ালাকে জিজ্ঞাসা করে পার্কের অবস্থান বের করলাম। ফেরার পথেও একই অবস্থা, সবচেয়ে সোজা রাস্তা বের করতে গিয়ে অযথা ঘুরলাম। পরে মনে হলো ম্যাপে তো ডিরেকশন দেখাতে পারে, সেটা ব্যবহার করলেই হতো।

ছবি : ফেরার পথে দেখি বিশাল এক জমিদার বাড়ী অসমাপ্ত অবস্থায় আছে। উত্তরায় এতো বড় প্লট আর দেখি নাই। আপাতত সিংহ দরজার ছবি দিলাম।

Image by William Iven from Pixabay

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।