ফ্রিওয়্যার – অফিস স্যুট

কম্পিউটার ব্যবহার যখন শুরু করলাম তখন ব্যবহার করতাম ওয়ার্ড ষ্টার, এরপর ওয়ার্ড পারফেক্ট। এ দুটোই ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার। স্প্রেডশিট অথবা ডেটাবেস এর জন্য অন্য প্রোগ্রাম ছিলো। এরপর এলো এমএস অফিস। ওয়ার্ড প্রসেসিং, স্প্রেডশিট, ডেটাবেস এবং প্রেজেন্টেশন সব এক প্রোগ্রামেই। যদিও এসব প্রোগ্রাম সবই পেইড প্রোগ্রাম ছিলো, বাংলাদেশে আমরা সব সময়ই পাইরেটেড কপি ব্যবহার করে আসছি এবং করছি। তবে মনে হচ্ছে দিনে দিনে পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহারও কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এখন পাইরেটেড কপি মানেই নানা রকম ভাইরাস আর ম্যালওয়্যারের খনি। অনেক সফটওয়্যারই ক্লাউড ভিত্তিক হয়ে যাচ্ছে। তার জন্য আবার মাস প্রতি টাকা গুণতে হয়। তবে আশার কথা এই যে এখনও বেশ কিছু কোম্পানি বেশ কিছু ফ্রিওয়্যার দিচ্ছে। সেগুলো আবার অনেক ক্ষেত্রেই পেইড সফটওয়্যার এর মতোই কার্যকরী।

আমি এর মধ্যে এম এস অফিস ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছি। কারণ এটা খূব একটা প্রয়োজন হয় না আমার। তার বদলে বেশ কিছুদিন ব্যবহার করলাম ওয়ার্ড প্যাড, লিবরে অফিস এর মতো ফ্রিওয়্যার। আবার ছোটখাট কাজের জন্য গুগল এর ক্লাউড ভিত্তিক গুগল ড্রাইভ বেশ কাজের। প্রয়োজনীয় ফাইল ষ্টের করা ছাড়াও অনলাইনেই ওয়ার্ড প্রসেসিং, স্পেডশিট বা প্রেজেন্টেশন তৈরী করা যায়। ক্লাউড ভিত্তিক হওয়ায় যে কোন জায়গা থেকেই এতে কাজ করা সম্ভব।

আজ নতুন একটি অফিস স্যুট এর সন্ধান পেলাম। নাম তার অনলি অফিস। এতেও ক্লাউড সূবিধা আছে, তবে তা সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিক। ডেস্কটপ এপ্লিকেশন দিয়েই আপনি ওয়ার্ড প্রসেসিং, স্প্রেডশিট বা প্রেজেন্টটেশন তৈরী করতে পারবেন। হয়তো এম এস অফিসের মতো এতো হাজারো ফিচার নেই, তবে যারা সাধারণ কাজকর্ম করেন, তাদের জন্য ভালই বলতে হবে।

তো আর দেরী কেন। আজই নামিয়ে ফেলুন অনলি অফিস এবং ব্যবহার শুরু করে দিন। ভাল থাকুন নিরন্তর।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।