ফ্রিকোয়েন্সী পরিবর্তন

আজ (১০/১০/২০২১) মজার এক অভিজ্ঞতা হলো। সকাল ১১টার পর থেকে রেডিও’র নব ঘুরাচ্ছি আর কোন ষ্টেশন পেলে নেট সার্চ করে কোন ষ্টেশন বের করার চেষ্টা করছি। মূলতঃ ব্যবহার করছি মোবাইলে স্কাইওয়েভ শিডিউল এপ। সমস্যা হয় ভাষা নিয়ে। চাইনিজ, হাক্কা, তিব্বতি, বার্মিজ, কোরিয়ান সবই মনে হয় চাইনিজ। এরকম দুই ভাষায় দুটি ষ্টেশন একই ফ্রিকোয়েন্সী ব্যবহার করে হয়তো, আপনি একটি শুনছেন। আপনি কি ভাবে বুঝবেন যে আপনি আসলে কোন ভাষায় কোন রেডিও’র অনুষ্ঠান শুনছেন? স্কাইওয়েভ শিডিউল এপ এ একটা চমৎকার ফিচার আছে। সার্চ দিয়ে যে রেজাল্ট পেলেন তার কোন একটা সিলেক্ট করে অনলাইনে এসডিআর ব্যবহার করে শুনে নিতে পারেন সেই ষ্টেশনটি। অডিও রেডিও’র সাথে মিললেই বুঝবেন আসলে কোন ষ্টেশন শুনছেন। আমি সাধারনত এভাবেই বের করার চেষ্টা করি ভাষা এবং ষ্টেশন কোনটি।
 
যাই হোক। ১৫৪৭৫ কিলোহার্টজ এ এসে ইংরেজীতে কথা শুনে থামলাম। স্কাইওয়েভ কোন তথ্য দিতে পারলো না। তখন বাজে প্রায় ১১:২৭, ১১:৩০ এ নিশ্চয়ই ষ্টেশন আইডি বলবে। অপেক্ষা করতে করতে দেখি রিসেপশন খারাপ হয়ে গেলো কিছুটা, ১৫৪৭০ এ নিতেই আবার কিছুটা ভাল শোনা গেলো। ততক্ষণে জেনেছি এটি রেডিও কুয়েত। আবার ১২টার সময় ফ্রিকোয়েন্সী চেঞ্জ হয়ে হলো ১৫৪৬৫ কিলোহার্টজ।
 
প্রতি আধ ঘন্টা অন্তর ফ্রিকোয়েন্সী ৫ কিলোহার্টজ করে পরিবর্তন হতে আগে কখনও দেখেছি বলে মনে পড়ে না। কাল আবার দেখতে হবে কি হয়।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।