বয়স

বন্ধু-বান্ধব দের অনেকেই নিয়মিত প্রেশারের ঔষধ কিংবা ডায়বেটিসের ঔষধ সেবন করে। অথচ আমাদের সবার বয়সই মধ্য পঞ্চাশের আশে-পাশে।
 
আমার নিজের এতোদিন কোন ঔষধ ই নিয়মিত সেবনের প্রয়োজনীয়তা ছিলো না। যদিও ডায়বেটিস কড়া নাড়তেছে নিয়মিতই। হাটাহাটি করে আর কার্ব কন্ট্রোল করে আপাতত সেটাকে দূরে রাখা গেছে।
 
তবে অন্যান্য কিছু সমস্যায় মাঝে মধ্যেই ভুগতে হয়। তখন মনের দিক থেকে যতোই তরুন হই না কেন, বয়স যে বাড়ছে সেটা হাড়ে হাড়ে টের পাই।
 
কয়েকদিন আগে আব্বার ঔষধ কিনতে গিয়ে ফুটপাতের এক ভাঙ্গা অংশে আচমকা পা পড়ে মচকে গেলো। এ তো আগে হরহামেশাই হতো। কয়েকদিন পর এমনিই ঠিক হয়ে যেতো। এবার প্রথম দুই দিন তেমন কোন সমস্যা হলো না, কিন্তু তৃতীয় দিন থেকে ব্যথা বাড়লো। আজ ভোরে ব্যথা এতো বেশী যে আর ঘুমাতে পারলাম না। পরে নিচে নেমে খূজে পেতে কয়েকটা বিস্কুট খেয়ে একটা প্যারাসিটামল, তারপরই ব্যথা কমতে শুরু করলো।
 
এরপর হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তার দেখালাম। এক্সরে করা হলো, ভাঙ্গে নাই। ডাক্তার কিছু ঔষধ দিলো, সাথে একটা এঙ্কলেট। আর ১৫ দিনের পূর্ন বিশ্রামের ব্যবস্থাপত্র।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।