মাইক্রোফোন

আলি এক্সপ্রেস থেকে ১৫০ টাকায় কেনা ল্যাভেলিয়ার মাইক্রোফোনের সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিলো এর তারের দৈর্ঘ্য খূবই কম। ফলে ক্যামেরা একটু দুরে সেট করলেই তারে টান লেখে ক্যামেরা সহ ট্রাইপড উল্টে যাওয়ার দশা হয়। এদিকে আলি এক্সপ্রেস থেকে জিনিসপত্র অর্ডার করা যাচ্ছে না তাদের বিকট শিপিং কষ্টের কারণে। করোনাকালে তারা ডিএইচএল / ইএমএস এর মতো নামি-দামি শিপারদের ব্যবহার করছে। ২/৩শ ডলারের জিনিস অর্ডার করে হয়তো ৩০-৫০ ডলার শিপিং চার্জ দিয়ে পোষায়। কিন্তু ৫ ডলারের জিনিস কিনে !?!

শেষ পর্যন্ত লোকাল এক ইকমার্স সাইট থেকে কিনেই ফেললাম Maono AU – 100R মাইক্রোফোনটি। জাতীয় মাইক্রোফোন বলে পরিচিত BOYA M1মাইক্রোফোনও তাদের কাছে ছিলো। কিন্তু এই মাইক্রোফোনটি পছন্দ করার অন্যতম কারণ হলো এটি রিচার্জেবল। সাধারণত ক্যামেরা / পিসিতে ব্যবহারের সময় এজাতীয় মাইক্রোফোনের এম্প এ একটি ছোট বাটন ব্যাটারী লাগে, ষ্মার্টফোনে ব্যবহার করলে সেটির আর প্রয়োজন হয় না। একটি বাটন সেলের দাম ৩৫-৪০ টাকা। তবে একটি ব্যাটারি কয়দিন চলে আমার সে সম্পর্কে একেবারেই ধারণা নেই। তবে এই রিচার্জেবল মাইক্রোফোনটিতে একবার চার্জ করলে মোটামুটি ৯০ ঘন্টা চার্জ থাকে বলে বলা হচ্ছে। সেই সাথে এর তারের দৈর্ঘ্য ৬ মিটার, আমার প্রয়োজনের চাইতেই বেশী।

আমি বৃহস্পতিবার রাতেই অর্ডার করেছিলাম। তাও মনে হয় রাত ১২টার পর। পরদিন বিকালে ফোন পেলাম। আর আজ দুপুরের দিকে ডেলিভারী দিয়ে গেলো। মোটামুটি বলা চলে ২ দিনেই হাতে পেয়ে গেলাম।

বক্সে মাইক্রোফোন ছাড়াও একটি ক্লিপ (শার্টের কলারে লাগানোর জন্য), ২টি ফোমের উইন্ড শিল্ড, একটি ব্যাগ, ইউজার ম্যানুয়াল ছিলো। সাথে একটি কনভার্টার।

এই মাইক্রোফোনটির দাম ১৮০০ টাকা। শিপিং ঢাকার ভিতর ৮০ টাকা। আগে এই সাইট থেকে কেনাকাটা করার জন্য কিছু ক্লাব পয়েন্টস ছিলো। সেটির জন্য আমি ৪০ টাকা ছাড় পেয়েছি। বিকাশে আমাকে মোট ১৮৪০ টাকা দিতে হয়েছে। আর বিকাশ ক্যাশব্যাক পেয়েছি ৬৫ টাকা। ফলে আমার মোট খরচ পরেছে ১৭৭৫ টাকা।

অদূর ভবিষ্যতে মাইক্রোফোন ব্যবহার করে রিভিউ দেয়ার আশা রাখি।

ভাল থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।