মুজিব বর্ষ এবং ব্যবসা

সরকার ২০২০ সাল’কে মুজিব বর্ষ ঘোষণা করেছেন। নানা আয়োজনে পালিত হবে এই বছরটি। তবে যা দেখা যাচ্ছে তাতে শংকিত না হয়ে পারা যায় না। যে যেমন ভাবে পারছে বঙ্গবন্ধু / মুজিব বর্ষ থেকে ফায়দা তোলার জন্য যা ইচ্ছে তাই করছে।কয়েকদিন আগে শিক্ষামন্ত্রী দীপুমনি বগুড়ার এক স্কুলের একাডেমিক ভবন উদ্বোধন করতে গেলে বঙ্গবন্ধুর মূখোশ পড়া ছাত্র-ছাত্রীরা একটি গান পরিবেশন করে। আর তাতেই লাগে গোল। প্রধানমন্ত্রীও নাকি দীপুমনিকে এব্যাপারে ভৎসনা করেন। আরেক ঘটনায় দেখা যাচ্ছে টিস্যুপেপারের বক্সে মুজিব বর্ষের লোগো।

আবার ফেসবুকে কয়েকদিন ধরে একটি ইকমার্স প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনে দেখা যাচ্ছে তারা মুজিববর্ষের বিশেষ কেক এর অর্ডার নিচ্ছে। আর সদ্য সমাপ্ত একুশে বইমেলায় আত্মপ্রকাশ করেছে ‘বিখ্যাত’ কেকা ফেরদৌসি’র রান্নার বই ‘বঙ্গবন্ধুর প্রিয় খাবার’।অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে সরকারী পর্যায়ে যারা এই আয়োজনে জড়িত তারা হয়তো এই তৈলমর্দনের বিষয়টি সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে গেছেন। নয়তো অনুষ্ঠান আয়োজনের পাশাপাশি কিছু নিয়মনীতিও প্রণয়ন করা উচিত ছিলো যাতে বেসরকারী পর্যায়ে কোন আয়োজন করতে হলে কি করতে হবে। এখন সবাই হয়তো সরকারের সুদৃষ্টির আশায় যেন-তেনভাবে বঙ্ঘবন্ধুকে উপস্থাপন করবে। আজ হয়তো ফেসিয়াল টিস্যুর বক্সে মুজিববর্ষের লোগো দেখা যাচ্ছে, কাল হয়তো টয়লেট টিস্যু’তে দেখতে পারবো।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।