শর্টওয়েভ ব্যান্ড

মিডিয়াম ওয়েভ এর ঠিক পর থেকেই মানে ১৭১০ কিলোহার্টস এর পর থেকে ৩০০০০ কিলোহার্টজ পর্যন্ত পুরোটাই শর্টওয়েভ। তবে এতে বেশ কিছু ভাগ আছে। ভাগ বলতে কিছু কিছু ফ্রিকোয়েন্সী রেঞ্জ আছে যেগুলি ব্যান্ড নামে পরিচিত। এই ব্যান্ডগুলিতে বিভিন্ন রেডিও ষ্টেশন তাদের অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে থাকে। আবার কিছু ব্যান্ড আছে রেডিও এমেচারদের জন্য। 

শর্টওয়েভ মোটামুটিভাবে ১৩টি ব্যান্ড আছে, যেগুলি ব্রডকাষ্ট ব্যান্ড, মানে রেডিও সম্প্রচার হয়ে থাকে এসব ব্যান্ডে। ১২০ মিটার, ৯০, মিটার, ৭৫ মিটার, ৬০ মিটার, ৪৯ মিটার, ৪১ মিটার, ৩১মিটার, ২৫ মিটার, ২২ মিটার, ১৯ মিটার, ১৬ মিটার, ১৩ মিটার এবং ১১ মিটার ব্যান্ড। নিচের ছবিতে প্রতিটি ব্যান্ডের ফ্রিকোয়েন্সী রেঞ্জ মেগাহার্টজ এবং কিলোহার্টজে দেয়া আছে। 

শর্টওয়েভ সম্প্রচার অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে যেমন সূর্য, আয়োনোস্ফিয়ার এবং পৃথিবীপৃষ্ঠের সাথে এই দুই এর মিথস্ক্রিয়ার উপর। ফলে দিনের সব সময় সব ব্যান্ডে একইরকম ভাবে শর্টওয়েভ সম্প্রচার শোনা যায় না। সাধারণভাবে বলা যায় দিনের বেলা ১৩ মেগাহার্টজের উপরের ফ্রিকোয়েন্সীতে এবং রাতের বেলা ১৩ মেগাহার্টজের নিচের ফ্রিকোয়েন্সীতে শর্টওয়েভ অপেক্ষাকৃত ভাল শোনা যায়। 

শর্টওয়েভ শোনার সর্বোত্তম সময় (যখন সবচেয়ে শক্তিশালী এবং পরিষ্কার হয়) সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের কাছাকাছি সময়। সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তে ২ ঘন্টার মতো সময় থাকে যখন শর্টওয়েভে সবচাইতে ভাল শোনা যায়, কখনও কখনও এটি ৩ থেকে ৪ ঘন্টা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

দিনের বেলা শোনার জন্য উপযোগী শর্টওয়েভ ব্যান্ড সমূহ

রাতের বেলা শোনার জন্য উপযোগী শর্টওয়েভ ব্যান্ড সমূহ

হ্যাপি ডিএক্সইং …

তথ্যসূত্র : ইন্টারনেট

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।