শেয়ার ব্যবসা

কি ব্যবসা করবো সেটা ভাবতে ভাবতে লাখ তিনেক টাকা শেয়ারে বিনিয়োগ করেছি। আর এর পর থেকেই বাজার যে পড়ছে তো পড়ছেই। নিয়ন্ত্রক সংস্থার হস্তক্ষেপে আপাতত ফ্লোর প্রাইস নামের এক ব্যবস্থায় সম্ভাব্য পতন ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে। ফলাফল বাজারে লেনদেন খূবই কম। 

আমি যে কয় কোম্পানির শেয়ার কিনেছি তার সবই ফ্লোর প্রাইসে এসে বসে আছে। হিসেবে দেখা যায় ৩ লাখ টাকায় প্রায় ৪০ হাজার টাকা ঘাটতি। এক ইন্সুরেন্স কোম্পানির গোটা বিশেক শেয়ার পেয়েছিলাম আইপিও’তে, সেটাই একমাত্র লাভে আছে। 

এখন কি করবো বুঝতেছি না। বিক্রি করে বের হয়ে আসতে চাইলে এই ৪০ হাজার টাকার ক্ষতি স্বীকার করতে হবে। আর বের না হলে এই ৩ লাখ টাকা কতদিন আটকে থাকবে জানা নাই। 

আপাতত কিছু শেয়ার নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছি। হয়তো সেগুলো কিনবো। এই শেয়ারগুলোর দাম খূব একটা বাড়ে কমে না, বেশীরভাগই অভিহিত মূল্যের চেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে এগুলো কিছু না কিছু ডিভিডেন্ড দেয় প্রতিবছর। মোটামুটি লং টার্মের জন্য কিনে ফেলে রাখলে ডিভিডেন্ড দিয়ে হয়তো বর্তমান ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া যাবে। সমস্য একটাই বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে যদি ডিভিডেন্ড না দেয় তাহলেই ষোলকলা পূর্ণ হবে। 

ভাল থাকুন নিরন্তর।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।