ষ্ট্রেঞ্জার থিংস

আমি সাইফাই বা সাইন্স ফিকশনের খূব একটা ভক্ত নই। যদিও ছোটবেলায় ষ্টারট্রেক, সিক্স মিলিয়ন ডলার ম্যান, বায়োনিক ওমেন সহ আরো কিছু টিভি সিরিজ নিয়মিতই দেখেছি। আর বই এর কথা বলতে গেলে মনে হয় মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর লেখা কপোট্রনিক সূখ-দূঃখ বইটির কথা। পড়ে রীতিমতো মজা পেয়েছিলাম।

কয়েকদিন আগে Netflix এ ফ্রি কোন কন্টেন্ট পাওয়া যায় কিনা খূজতে গিয়ে হাতে গোনা কয়েকটি  (৭টি) কন্টেন্ট পেয়েছিলাম। তার মধ্যে প্রথমেই ছিলো ষ্ট্রেঞ্জার থিংস নামের একটি সিরিজ এর প্রথম পর্ব। প্রথম পর্ব দেখার পর মনে হলো বাকিগুলো দেখতে হবে। এদিকে আবার নেটফ্লিক্স একাউন্ট নেই। থার্ডপার্টির মাধ্যমে আমাজন প্রাইম নিয়ে যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিলো তাতে নতুন করে আবার নেটফ্লিক্স একাউন্ট নিতে মন চাইছিলো না। আর তাই বিকল্প পথে খোজা শুরু করলাম।

খূজে পেতে অবশ্য খূব কষ্ট করতে হয় নাই। ৩ সিজনের সবগুলো পর্বই পেয়ে গেলাম। গত ৪/৫ দিনে সবগুলো দেখে শেষ করলাম। অসম্ভব ভাল লেগেছে এই সিরিজটি।

আমেরিকার ছোট এক শহরের অধিবাসি এক ছেলে হঠাৎ একদিন নিখোজ হয়ে যায়। তাকে খূঁজতে গিয়ে বের হয়ে আসে কাছের এক সরকারী পাওয়ার ষ্টেশনে চলা সিআইএ এর এক গোপন কর্মকান্ডের কথা। ঘল্প এরপর আরো অনেকদুর গড়ায়। শেষ পর্যন্ত অবশ্য কাহিনী আরো অনেকদূর গড়ায়। আরো কিছু বললে হয়তো সেটা স্পয়লার হয়ে যাবে। তাই আর আগালাম না।

যদিও এই সিরিজ ১৩+ উপযোগী বলা হচ্ছে। তারপরও আমাদের দেশের স্কুল পড়ুয়াদের উপযোগী হবে কিনা সন্দেহ থেকেই যায়। সুতরাং ভেবে চিন্তে দেখাই ভাল। আর যাদের হৃদয় দূর্বল তাদের না দেখাই ভাল। প্রাগৈতিহাসিক জন্তু, কামড়াকামড়ি, রক্তপাত আছে এই সিরিজে।

প্রথম সিজনের প্রথম পর্বটি দেখতে এখানে (এবং অন্যান্য প্রি কন্টেন্ট) ক্লিক করুন।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।