সিদ্ধান্তহীনতা

গত ফেব্রুয়ারীর পর থেকে তেমন কোন কাজই করি নাই। এমন কি শখের কাজগুলোও অনেকটা দায়ছাড়া ভাবে করছি। অথচ খরচ বাড়ছে, সেই সাথে বাজে খরচও হচ্ছে। মনে মনে ভাবছি খরচ কমাবো কিন্তু খরচ আর কমাতে পারছি না। অনলাইনে কাজ করা (ফ্রিল্যান্সিং) নিয়ে সেই কবে থেকে চিন্তা করছি, কিন্তু কিছুই হচ্ছে না। আজ এই করি তো কাল সেই। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই না। অনেকটা মাথায় হাত বুলিয়ে বেঁচে থাক বাবা টাইপের কিছু একটা হচ্ছে।

গত কয় মাসে সঞ্চয়পত্রের কোন টাকা সঞ্চয় হয় নাই। বরং ব্যাংকের টাকা কিছুটা কমেছে। মাঝে আব্বার হাসপাতাল খরচ, ঔষধ, ডায়পার সহ অন্যান্য টুকিটাকি তো আছেই। হিসাব করে দেখলাম এর সাথে যোগ হয়েছে অনলাইনে অহেতুক কিছু কেনাকাটা, যা না কিনলে তেমন কোন ক্ষতি হতো না। এর মধ্যে আবার প্রায় ১৫ হাজার টাকা দামের এক ৩ডি প্রিন্টার অর্ডার করেছি। শেষ পর্যন্ত এটা দিয়ে কি করবো, এখনও ভেবে কুলিয়ে উঠতে পারি নাই। অথচ বিদ্যুৎ গেলেই মনে হয় একটা ইউপিএস কেনা লাগবে অথচ ৫/৬ হাজার টাকা দামের এই প্রয়োজনীয় জিনিস৬টি আজো কেনা হলো না।

আজ আবার ল্যাপ৬টপ অন করে দেখি এর কিবোর্ড কাজ করছে না। ট্র্যাকপ্যাড অবশ্য কাজ করছে। বাসায় একটা এয়ার মাউস ছিলো, আপাতত সেটা দিয়েই কাজ চালানো যাচ্ছে।

কিন্তু এখন আয় রোজগারের জন্য কি করবো, সেটাই চিন্তা করছি। হয়তো খূব বেশী দিন আর কাজ করার শক্তি সামর্থ্য থাকবে না। ব্যবসা করার চেষ্টা আগেও করেছি, ফলাফল শুণ্য। আবার নতুন করে যে করবো সেই সূযোগও এখন খূব সীমিত। আব্বার কারণে বাসায় থাকতে হচ্ছে বেশীরভাগ সময়। এদিকে বোন ব্যস্ত আম্মা আর তার সংসার নিয়ে। এখন আম্মাকে কেবল খাওয়াতেই যে হ্যাপা পোহাতে হচ্ছে সেটা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। বোনও এসব কারণে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে দূর্বল হয়ে যাচ্ছে।

কি করবো, কি করা উচিত – কোন ভাবেই সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।