স্ক্যাম

প্রথম প্রথম যখন ইন্টারনেট ব্যবহার করা শুরু করি তখন বিভিন্ন রকম ইমেইল নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করতাম। কোনটা হয়তো কাজের কোনটা অকাজের। এই সাবস্ক্রিপশনের সুবাদেই হয়তো বা আরো কিছু ইমেইল চলে আসতো ইনবক্সে। তার মধ্যে কিছু ছিলো এমন

From Google Inc Asia ` Middle East

Dear Google User, Thanks for using Google Apps on your mobile phone, Your Mobile Network has been match with data in Google Records. ::: Congratulations :::: Your Google ID has been selected for FREE Brand New “Apple iPhone 11” + “Apple Macbook Pro Laptop” Download your 100% FREE Gift Voucher to (Copy paste above complete link in your browser)

——- How to Claim this Gift? ——
Very easy just visit Google Android official Gift website: and click on Claim button,and follow instructions, use only english language to claim prize by email Thanks for using Google Apps.

International Relations
Google Inc. United Kingdom.

প্রথম প্রথম এরকম কিছু দেখলে প্রচন্ড প্রচন্ড রকমের উত্তেজনা অনুভব করতাম। এখানে তো কেবল আইফোনের কথা বলা হয়েছে, কোন কোনটায় থাকতে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার জেতার খবর। ভাবতাম মিলিওনিয়ার হওয়া এবার আর কেউ ঠেকাতে পারবে না। দিবাস্বপ্নে সমূদ্রের পারে নান্দনিক ভিলা, বিএমডব্লিউ কার আর সুন্দরী বান্ধবী সব দেখতাম। কিন্তু বাস্তবে এসব কিছুই পাই নাই। ভুল বললাম, পেয়েছি আরো কিছু স্প্যাম ইমেইল, ক্ষেত্র বিশেষে ম্যালওয়্যার এসব আর কি।

এখনও অনেকে এসব বিশ্বাস করেন। কারণ বিশেষ কিছু না। তারাও নেটের জগতে নতুন। আমি হয়তো ২০+ বছর আগে নেট ব্যবহার শুরু করেছিলাম, তাদের হয়তো ২০ মাসও হয়নি। এটা খূবই স্বাভাবিক যে নেটে প্রথম প্রথম যা দেখবেন তাই বিশ্বাস করতে মন চায়। আর একম লটারি জয়ের খবর তো বিশাল ব্যপার।

যখনই এরকম কোন মেইল পাবেন নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন কার এতো ঠ্যাকা পরেছে যে আপনাকে এরকম কোন উপহার দিবে কোন কারণ ছাড়াই ? নতুন নতুন  ফ্রিল্যান্সিং করতে গিয়ে লোকজন রীতিমতো গলদঘর্ম হচ্ছে প্রতিনিয়ত। কাজের কোন দেখাই পাওয়া যায় না, আয় করা তো আরো পরের ব্যাপার। ইউটিউব বা ফেসবুকে ভিডিও দিয়ে দিনের পর দিন বসে থাকতে হয় ভিউ আর সাবস্ক্রাইবার কতটুকু বাড়লো তা দেখতে দেখতে। একটা কথা সব সময় মনে রাখবেন নেটে কোন কিছু আয় করা বা উপহার পাওয়া খূব সহজ কোন ব্যাপার না। অনেক কোম্পানি তাদের প্রচারের জন্য অনেক প্রতিযোগীতার আয়োজন করে নানারকম উপহার নিয়ে। সেখানেও কিছু শর্ত থাকে, একেবারে ফ্রি কোনটাই না। পূরো বিশ্বের কথা বাদ দিলাম শুধূ বাংলাদেশের কথাই ধরেন। আপনি যখন এরকম কোন অনলাইন প্রতিযোগীতায় অংষ নিচ্ছেন তখন হাজার হাজার, হয়তো বা লাখের উপরেও প্রতিযোগী থাকে। তাদের মধ্যে থেকে বিজয়ী হয়ে আসাও কিন্তু খূব সহজ না।

স্ক্যামএরকম কোন ইমেইল দেখলে কি করবেন ? সোজা স্প্যাম বাটনে ক্লিক করবেন। যদি রেপুটেড কোন কোম্পানি যেমন গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব এদের কাছ থেকে কোন পুরস্কার জয়ের খবর পান ? কিংবা কেউ যদি এসব কোম্পানির তরফ থেকে আপনাকে কোন ফর্ম ফিলআপ করতে বলে ? প্রথমেই দেখে নিন কোন ইমেইল এড্রেস থেকে ইমেইল এসেছে। এসব কোম্পানি থেকে মেইল আসলে সব সময়েই দেখবেন @গুগল.কম, @ফেসবুক.কম, @ইউটিউব.কম এরকম এড্রেস থাকবে। কখনই ইউটিউব@জিমেইল.আরইউ এরকম এড্রেস হবে না। আবার কোন ওয়েব এড্রেসে গিয়ে কোন ফর্ম ফিলআপ করতে বললে আগেই লিংকে ক্লিক না করে বাটনের উপর মাউস পয়েন্টার নিয়ে যান, ব্রাউজারের নিচের দিকের কোনায় এড্রেস দেখাবে। ফেসবুক / ইউটিউব বা এজাতীয় প্রতিষ্ঠান সবসময়ই তাদের মূল ওয়েব সাইটের সাথে সম্পর্কিত ওয়েব এড্রেস দেখাবে, যার শেষাংস হবে ফেসবুক.কম বা ইউটিউব.কম এরকম। ছবিতে দেখেন উপরে দেয়া ইমেইলের বাটনে ক্লিক করার পর গুগল সাহেব কোথায় পাঠিয়েছে। প্রাইজএন্ড্রয়েড.ক্লাব নামের এক ওয়েব সাইটে।

স্প্যাম, স্ক্যাম এড়িয়ে চলুন, শান্তিতে থাকুন।

পাদটীকা : অনলাইনে এপর্যন্ত বার দুই প্রতিযোগীতায় জয়লাভ করেছি। প্রথমবার রকমারি.কম এ বই কিনে একটি বুকশেলফ জিতেছিলাম। আমি অবশ্য পরে বুকশেলফ না নিয়ে ৫ হাজার টাকার বই নিয়েছিলাম। আর কিছুদিন আগে ফেসবুকের ইকমার্স রিভিউজ গ্রুপে প্রোডাক্ট রিভিউ লিখে আয়নাঘর থেকে পেয়েছি একটি টিশার্ট।

Image by Gerd Altmann from Pixabay 

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।