স্বাগতম ২০১৯

আমার সাধারণত কোন পরিকল্পনা থাকে না নতুন বছরের জন্য। কারণ ঢাক ঢোল পিটিয়ে পরিকল্পনা করলেও দেখা যায় কিছুদিন পরেই সেটি মূখ থুবরে পরে। তবে মনে মনে এখন অনেক কিছুই ভেবে রাখি যে নতুন বছরে এই করবো সেই করবো ইত্যাদি। যেমন গত বছর ঠিক করেছিলাম নতুন বছরে আর কিছু না করি, নিয়মিত ব্লগ লিখবো। যদিও মাঝে ব্লগ লিখবো না ভ্লগ তৈরী করবো এটি নিয়ে কিছুটা দো’টানায় ছিলাম। শেষ পর্যন্ত ব্লগই চালিয়ে গেছি, যদিও খূব নিয়মিত না, মাঝে মধ্যেই ছন্দপতন হয়েছে। এ বছরও ইচ্ছে এই ব্লগ চালিয়ে যাব নিয়মিত, মাঝে সাজে হয়তো ভিডিও করবো কিছু। কারণ ভিডিও’তে সার্বিকভাবে এখনও ততোটা চালু হতে পারি নাই।

গত বছর আরেকটি ভাবনা ছিলো বই পড়া নিয়ে। অনেক বেশী বই পড়তে চেয়েছি। বই পড়তে গেলে অখন্ড মনোযোগের প্রয়োজন হয়। বছরের শেষের দিকে এই মনসংযোগে খূব সমস্যা হয়েছে। তাই বই পড়াও খূব ধীরগতিতে হয়েছে। এবছরও চেষ্টা করবো অনেক বেশী বই পড়ার।

কোন এক কালে আমার রাগ ছিলো ভয়ঙ্কর। হঠাৎ করেই দেখা যেতো তুচ্ছ কোন কারণে শরীরের সব রক্ত মাথার দিকে ধাবিত হয়েছে। জিনিসপত্র ভাঙ্গচুর তো তুচ্ছ ব্যাপার, হাতও চলতো। বছর দুই আগে চিন্তা করেছিলাম এরকম রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আগে ভাবতে হবে বিষয়টা কি, তারপর নিজের অনুভূতি প্রকাশ। প্রথম প্রথম খূব সমস্যা হতো, অক্ষম রাগে নিজের ঘরে পায়চারী করে বেড়াতাম। তারপর ধীরে ধীরে সেটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসলো। যে বিষয় নিয়ে মেজাজ খারাপ হয় সেটা নিয়ে ভাবতে ভাবতে দেখা যায় রাগ পানি হয়ে গেছে। এখন আর তেমন রাগ উঠেনা, যে যাই বলুক বা করুক এক কান দিয়ে ঢুকলে আরেক কান দিয়ে বের করে দেই অথবা দেখেও না দেখার ভান করি। রাগ হয় অনেক সময়, কিন্তু একটু সবুর করলে সেটা নির্বাপিত হতে সময় লাগে না।

এবছর যাই করিনা কেন, ফটোগ্রাফিতে আরেকটু বেশী সময় দিবো, সেই সাথে ক্র্যাফটিং এ। গতবছর এদিকে খূব একটা সময় দেয়া হয় নাই। ক্র্যাফটিং এর বিশেষত জুয়েলারি তৈরীর অনেক আইটেম কিনেছি যদিও, কাজ সে তুলনায় একদমই নেই। ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রেও একই কথা। পারিবারিক কারণে এখন বের হতে পারি না তেমন, ফটোগ্রাফিও তাই কিছুটা ঝিমিয়ে আছে। এবছর বাইরে বেরুতে না পারি, কিন্তু ঘরের মধ্যেই ফটোগ্রাফি করবো। ম্যাক্রো, টপ ডাউন সহ যা যা করা সম্ভব।

আপাতত এই হলো পরিকল্পনা, মনে মনে। বাকিটা দেখা যাক।

সবাই’কে নতুন বছরের শুভেচ্ছা। ভাল থাকবেন সবাই।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।