হন্টন (২)

১. আজ (২৩শে ফেব্রুয়ারী, ২০২৪) বাসা থেকে হাটতে হাটতে প্রথমে গেলাম হাউজ বিল্ডিং এর মোর, তারপর আবদুল্লাহপুর ছাড়িয়ে টঙ্গী বাজার, অতঃপর বাটা সুপার সেভার শপে। উদ্দেশ্য ছিলো হাটার জন্য একজোড়া স্নিকার্স কেনা। কিন্তু দাম দেখে পুরাই হতাশ। কি আর করা। আবার সেই হাটতে হাটতেই বাসায় ফেরা।
 
২. টঙ্গী ব্রিজ ভাঙ্গা হয়েছিলো বেশ কিছুদিন আগে। আমার মনে হয়েছিলো এতোদিনে নিশ্চয়ই নতুন ব্রিজ তৈরী হয়ে গেছে। গিয়ে দেখলাম গাড়ী সব অস্থায়ীভাবে তৈরী করা বেইলী ব্রিজ দিয়ে পার হচ্ছে। পূর্ব সাইডে ঘেরা, মানে সেখানে নতুন ব্রিজ তৈরী হচ্ছে।
 
৩. বিভিন্ন ধরণের উন্নয়ন কাজের জন্য উত্তরার মূল সড়ক, মানে ঢাকা ময়মনসিংহ রোড দিয়ে হাটা অনেক সময়ই কঠিন। সেদিন দোতলা বাসে ফার্মগেট যাওয়ার পথে দেখছিলাম উত্তরা-এয়ারপোর্ট- খিলক্ষেত অংশে অনেক জায়গাতেই ফুটপাত নাই। চলামান গাড়ীর পাশাপাশি হাটতে হয়। আজ উত্তরা-টঙ্গী বাজার পর্যন্ত যেতে যেতে কয়েক জায়গায় একই অভিজ্ঞতা হলো। বিশেষ করে ব্রিজ পার হওয়ার পর। আর আমাদের সম্মানিত মোটর সাইকেল চালকগণ ৬ ইঞ্চি জায়গা ফাঁকা পেলেও মনে হয় সামনের চাকা ঢুকিয়ে দেন।
 
৪. এই হাটাহাটিতে আজ ১১৫০০ ষ্টেপস হয়েছে দেখলাম।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।