হন্টন (১)

এরশাদের আমলের শেষদিকে প্রায়ই হরতাল হতো। ঘন ঘন হরতালের কারণে পাবলিকও ঘর থেকে নিয়মিত বের হতো। সমস্যা ছিলো পাবলিক ট্রান্সপোর্টের। ফলে বাহন ছিলো রিক্সা, ভ্যান নয়তো পদব্রজে। সেসময় বয়স ছিলো কম, হাটার এনার্জিও ছিলো অনেক। মাঝে মধ্যে অচেনা অজানা মানুষের সাথে খাজুইরা আলাপ করতে করতে লম্বা পথ হেটেই মেরে দিতাম। ফেরার পথে হয়তো রিক্সা বা ভ্যানে ভাগাভাগি করে ফিরতাম।
 
আজ বহুদিন পর আবার হাটার ষ্ট্যামিনা টেষ্ট করলাম। সকালে বাসা থেকে রাজলক্ষী হেটে। তারপর বাসে মিরপুর ১০ নং গোল চক্কর। সেখান থেকে রিক্সায় বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্র। ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা দেখে চিন্তা করলাম কোথায় যাই। সময় এমন যে কারো বাসায়ও যাওয়া যায় না, শুক্রবার বলে অন্য কোথাও যাওয়ার চিন্তা বাদ দিলাম। হাটা শুরু করলাম। হাটতে হাটতে শেষ পর্যন্ত আজিমপুর নিউমার্কেট। 
 
ভাবতেছি আগামী সপ্তাহে রাজলক্ষ্মী টু বনানী হন্টন দিবো।
আপডেট : বাসে করে উত্তরা – ফার্মগেট যাওয়ার পথে খেয়াল করলাম বেশ কিছু জায়গায় ফুটপাত নাই। সেখানে চলমান উন্নয়ন কাজের জন্য ফুটপাত ভাঙ্গা হয়েছে। উত্তরা-এয়ারপোর্ট-খিলক্ষেত অংশেই এরকম। খিলক্ষেতের পর আর তেমন ভাঙ্গা নাই। আবার ফার্মগেটের পর কাওরানবাজার, শাহবাগ, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মেট্রোরেলের ষ্টশন যেখানে যেখানে আছে সেখানে ফুটপাত নাই। 

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।