ইদানিং অনলাইনে অনেক কিছুই কিনছি। বই থেকে শুরু করে গ্যাজেট পর্যন্ত সবই। বড় বা দামী জিনিসের মধ্যে একটা মোবাইল ফোন আরেকটা টিভি কেবিনেট কিনেছি। যদিও অনেকে আরো অনেক দামী দামী জিনিস কিনে থাকেন। টিভি, ফ্রিজ থেকে শুরু করে মোটর সাইকেল / স্কুটি পর্যন্ত অনেকেই কিনেছেন। আইফোনের মতো দামী মোবাইল ফোনও অনেকে কিনেছেন। এতো কিছুর পরেও অনলাইন শপিং নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা কেন যেন ঠিকমতো পুরণ হচ্ছে না। পুরানো, নষ্ট, বাতিল জিনিস এর ব্যাপারে প্রচুর অভিযোগ বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপেই দেখা যায়। এক জিনিস অর্ডার দিয়ে আরেক জিনিস পেয়েছেন এরকম অনেক অভিযোগ আছে। আমার ক্ষেত্রে কাপড়-চোপর নিয়ে সমস্যা হয়েছে সবচেয়ে বেশী। মাপ কোন সময়ই ঠিকমতো থাকে না। তাই এজাতীয় জিনিস অর্ডার সহজে করি না। আর জুতার সাইজ তো দোকানে গিয়েও মিলাতে কষ্ট হয়। তাই জুতা কখনও অর্ডার করি না।
কিভাবে অর্ডার করি ? প্রথমে জিনিসের নাম দিয়ে সার্চ দেই। শপিং প্ল্যাটফর্ম হলে প্রচুর রেজাল্ট আসে। আর একই ছবি দীযে হাজার হাজার প্রোডাক্ট পাওয়া যায়। সমস্যা হলো এদের দামের পার্থক্য প্রচুর। ফলে কোনটি ভাল আর কোনটি খারাপ বুঝার কোন উপায় থাকে না। এক্ষেত্রে অনুসন্ধানের পর কম থেকে বেশী প্রাইস এভাবে সাজিয়ে নেই। এবার প্রথম দিকে এবং মাঝের দিকে থাকা প্রোডাক্টগুলির রেটিং দেখি। রেটিং ভাল হলে রিভিউ গুলি পড়ে দেখি। অনেক সময় দেখা যায় রিভিউ খূব খারাপ দিয়েছেন কোন এক ক্রেতা, কিন্তু রেটিং দিয়ে রেখেছেন ৫। আর তাই রেটিং এর সাথে রিভিউ দেখাটাই জরুরী। অনেক সাইটে সেলারের রেটিং, শিপিং টাইপ এসব বিষয়ও দেয়া থাকে। সবকিছু মিললে অর্ডার করে ফেলি। দাম বেশী হলেই যে প্রোডাক্ট খূব ভাল হবে এমনটি নয়। দেখা যায় কোন একটি প্রোডাক্ট কেউ ১০০ টাকায় বিক্রি করছে, আবার কেউ ৫০০ টাকায়। ৫০০ টাকার জিনিস অরিজিনাল আর ১০০ টাকার জিনিস নকল এমনটি ভাবার কোন কারণ নেই। দেখা যাবে ২ জনেই একই প্রস্তুতকারকের তৈরী একই মানের প্রোডাক্ট দিচ্ছেন। তখন আপনি ঠকলেন। এই জন্যই আমি প্রাইস কম থাকে এমন জিনিস কিনি বেশী। সেই সাথে একই জিনিস অন্যান্য অনলাইন শপিং এ কেমন দামে বিক্রি হচ্ছে বা আমাজন / আলিবাবাতে কেমন দাম এসবও চেক করি।
আপনি কিভাবে প্রোডাক্ট পছন্দ করেন জানাবেন কিন্তু। হয়তো আপনার কাছ থেকে কিছু শিখতে পারবো।
ভাল থাকুন। হ্যাপি শপিং।
ফটো ক্রেডিট : Justin Lim
ফেসবুক মন্তব্য