অনেক কাল আগের কথা। ষ্টকহোমে গিয়ে পরিচয় হলো বাংলাদেশী পরিবারের সাথে। পরিচয় হয়েছিলো অবশ্য পোষ্ট অফিসের সুপাভাইজার ঊভে’র মাধ্যমে। আমি বাংলাদেশের শুনে আমাকে অবাক করে দিয়ে ঊভে জিজ্ঞাসা করেছিলো আমি সিলেট এর কিনা। পরে জানা গেলো উভের এক প্রতিবেশী বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলের।
উভের মাধ্যমেই পরিচয় হলো বড় ছেলের সাথে। পরিচয়ের পর উভেই বললো তোমরা তোমাদের ভাষায় কথা বলতে পারো। সিলেটি টান থাকলেও ছেলের কথা বুঝতে সমস্যা হয় নাই কোন। কয়েকদিন পর পরিচয় হলো তাঁর মায়ের সাথে, পোষ্ট অফিসে। উনি বোধহয় কোন কাজে এসেছিলেন। আমাকে দেখেই এগিয়ে এসে জানতে চাইলেন আমি বাংলাদেশের কিনা। হ্যাঁ শুনেই বাংলায় বললেন উভে আর তারঁ ছেলের কাছে আমার কথা শুনেছেন। তারঁ সাথেও কথা বলতে কোন সমস্যা হয় নাই। বাসায় যাওয়ার দাওয়াত দিলেন।
গোল বাঁধলো কয়েকদিন পর। পার্কিং এরিয়ায় উভে একদিন পরিচয় করিয়ে দিলো ছোট ছেলের সাথে। বরাবরের মতো উভে পরিচয় করিয়ে দিয়েই বললো তোমরা তোমাদের ভাষায় কথা বলো। কথা বলতে গিয়ে দেখি সে কথা বলে খাস সিলেটি ভাষায়। আমি তো সেই সিলেটি ভাষার কিছুই বুঝি না। পরে আমিই বললাম তোমার আপত্তি না থাকলে ইংরেজিতে কথা বলি। এরপর ইংরেজিতে কথা হলো। যতবার এই ছেলের সাথে দেখা হয়েছে আমরা ইংেরজিতেই কথা বলেছি। ওর মায়ের কাছে পরে শুনেছিলাম ওর জন্ম সুইডেনেই।
পরে আমি ঢাকায় চিঠি লিখেছিলাম এই বলে যে এক বাঙ্গালীর সাথে শেষতক কথা বলতে হলো ইংরেজিতেই।
ভাল থাকুন নিরন্তর।
ফেসবুক মন্তব্য