কমলাপুর ষ্টেশনে একদিন

প্রথম ডিএসএলআর কিনেছিলাম মনে হয় ২০১১ সালে। তখন আমার চোখের অবস্থা মোটেও ভাল না। জন্মগত ত্রুটির কারণে অনেক কিছুই ঠিকমতো দেখতে পেতাম না। সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিলো ভিউফাইন্ডারে ফোকাসিং পয়েন্ট বা অন্য লেখা কিছুই দেখতে পেতাম না। আবার নাইকন ডি৩০০০ ক্যামেরায় লাইভ ভিউ ও ছিলো না। ফলে প্রচুর ছবিতে সাবজেক্ট আউট অফ ফোকাস হয়ে যেত। ২০১৪ সালে এক চোখ অপারেশন হয়। পরিস্থিতি এখন অনেকটাই ভাল।
 
২০১১ সালে কোন এক ঈদের আগে (খূব সম্ভবত) টিটিএল গ্রুপের সাথে গিয়েছিলাম কমলাপুর ষ্টেশনে। প্রচুর ছবি তুলেছিলাম। বেশীর ভাগ ছবিই প্রসেস করা হয় নাই। এবার নতুন করে আবার ছবি এডিট আর প্রসেস করলাম। অনেক ছবি মুছে ফেলতে হলো নানাবিধ কারণে। অনেক ছবি ফোকাস হয় নাই অথবা লো লাইটে ব্লার হয়ে গেছে।
 
ফেসবুক লিংক এখানে

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।