১.
কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ শিথিল করা হয়েছে। যেমন – মার্কেট / সুপার মার্কেট খুলে দেয়া হয়েছে। মসজিদে নামাজ জামাতে পড়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে সব কিছুই শর্ত সাপেক্ষে।
২.
কোন কিছু কিনতে গেলে আমরা ১০টা জিনিস হাতে নিয়ে নেড়ে-চেড়ে দেখি। কাপড় চোপড় ট্রায়াল দেই। সমস্যা হলো মার্কেটে আগত ১০০ জন লোকের মধ্যে করোনা ভাইরাস আছে সেটি বুঝার কোন উপায় নেই। আবার ইদানিং শোনা যাচ্ছে করোনা আক্রান্ত অনেকের ক্ষেত্রেই কোন রকম উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না। এই ১০০ জনের মধ্যে যদি একজনের দেহেও করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি থাকে তবে তার মাধ্যমে কতজন সংক্রমিত হতে পারে ? যতই নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হোক না কেন এই সব জিনিস বাছাবাছি, ট্রায়াল দেয়া থেকেও তো করোনা ছড়াতে পারে।
সরকার অনুমতি দিয়েছে ভাল কথা। প্রথমে চিন্তা করেন আপনার নিজের পরিবারের কথা। ঈদ শপিং করতে গিয়ে যদি আপনি বা পরিবারের কেউ এভাবে করোনা আক্রান্ত হয় তবে ঈদের আনন্দ তো গেলই এর চাইতে খারাপ কিছুও ঘটতে পারে। আপনার নিজের এবং পরিবারের সুরক্ষার দায়িত্ব আপনার। সুতরাং এই সময় ঈদ শপিং আদৌও করবেন কিনা সে সিদ্ধান্ত ও আপনার।
৩.
মসজিদে জামাতে নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্তাবলী দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রনালয়। যেমন – জীবানু নাশক দিয়ে পুরো ফ্লোর পরিস্কার করা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা, সাবান-পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা ইত্যাদি। সেই সাথে নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য নামাজিদের মাঝে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা এবং প্রতি ২ কাতারের মধ্যে একটি কাতার ফাঁকা রাখা। এখন প্রশ্ন হলো কতগুলো মসজিদ পাঁচবেলা জীবানু নাশক দিয়ে ফ্লোর পরিস্কার করতে পারবে ? ঢাকা বা বড় শহরগুলোতে হয়তো সম্ভব, কিন্তু গ্রাম বা মফস্বলে ? আর জীবানু নাশক ও তো ইদানিং ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে না। আমি গত ২ সপ্তাহে বার দুই চেষ্টা করেও স্যাভলন বা ডেটল খূঁজে পাই নি। দোকানেও নাই, অনলাইনেও নাই। তাহলে ? শুধূ ঝাড়ু দিয়ে বা পানি ঢেলে কি কাজ সারবে মসজিদ গুলো ?
৪.
আপনি করোনা আক্রান্ত হলে পরদিন সরকারী প্রেসনোটে একটি সংখ্যা বাড়বে মাত্র। আপনার পরিবারের কাছে কিন্তু আপনি কেবল সংখ্যা না। আপনার পরিবার যে দূঃসহ সময় পার করবে তার কি হবে। যাই করেন জেনে-শুনে-বুঝে করেন।
ভাল থাকুন, ঘরেই থাকুন।
ফেসবুক মন্তব্য