১.
উত্তরার সেক্টরগুলিতে এমনিতে ফকির খূব কম দেখা যায়। তারা সাধারণত বিভিন্ন মার্কেট, মসজিদ, ফ্লাইওভার এসবের ধারে কাছে থাকে। বাসাবাড়ীর সামনে গিয়ে ভিক্ষা করার লোক ধরতে গেলে ছিলোই না। অথচ বেইলী রোড, মোহাম্মদপুরে সব সময়ই দেখেছি। শবে বরাতে তো রীতিমতো হুলস্থুল ব্যাপার ছিলো।
উত্তরার সেক্টরগুলিতে এমনিতে ফকির খূব কম দেখা যায়। তারা সাধারণত বিভিন্ন মার্কেট, মসজিদ, ফ্লাইওভার এসবের ধারে কাছে থাকে। বাসাবাড়ীর সামনে গিয়ে ভিক্ষা করার লোক ধরতে গেলে ছিলোই না। অথচ বেইলী রোড, মোহাম্মদপুরে সব সময়ই দেখেছি। শবে বরাতে তো রীতিমতো হুলস্থুল ব্যাপার ছিলো।
ইদানিং বাসার সামনে লোকজন এসে সাহায্য চাইছে। একদল আছে প্রফেশনাল ফকির, আছে কিছু শারিরীক প্রতিবন্ধী লোকজন। বেশ কিছু লোকজন দেখা যায় যারা হয়তো ফকির না। কাপড়চোপড় দেখলে বুঝা যায় এরা নিতান্তই ঠ্যাকায় পরে এসেছে। কেউ ছোট বাচ্চাদের নিয়ে এসেছে বা পাঠাচ্ছে। আজও একজন মহিলাকে দেখলাম সালোয়ার কামিজ পরা, পায়ে স্যান্ডেল, এক কাঁধে ব্যাগ আর কোলে এক বাচ্চা নিয়ে বাসার সামনে সাহায্য চেয়ে যাচ্ছে। সকালের দিকে ছোট ছোট কিশোর বয়সী কিছু ছেলেদের দেখা যায় লেবু / শষা পলিথিনে নিয়ে ফেরি করছে।
২.
১৯৭৪ সালের দূর্ভিক্ষের চেহারা আমার কাছে খূব একটা স্পষ্ট না। তখন তো পড়তাম চতুর্থ শ্রেণীতে। স্মৃতিতে তেমন কিছু নেই। কেবল মনে আছে পত্রিকার পাতায় বা টিভি নিউজে কেবল লঙ্গর খানার খবর। সেসময় আমাদেরও রেশন কার্ড ছিলো। ঢাকায় ১৯৭৯ সালে যখন বেইলী স্কয়ারে ছিলাম তখনও আমাদের রেশন কার্ড ছিলো। সেসময় কেবল তেল আর চিনি তোলা হতো। এই রেশন কার্ড নিম্নবিত্ত তো বটেই, আমাদের মতো মধ্যবিত্তদেরও অনেক উপকারে আসতো। পরে কোন এক সময় এই রেশন এর সিষ্টেম উঠে গিয়েছিলো।
২.
১৯৭৪ সালের দূর্ভিক্ষের চেহারা আমার কাছে খূব একটা স্পষ্ট না। তখন তো পড়তাম চতুর্থ শ্রেণীতে। স্মৃতিতে তেমন কিছু নেই। কেবল মনে আছে পত্রিকার পাতায় বা টিভি নিউজে কেবল লঙ্গর খানার খবর। সেসময় আমাদেরও রেশন কার্ড ছিলো। ঢাকায় ১৯৭৯ সালে যখন বেইলী স্কয়ারে ছিলাম তখনও আমাদের রেশন কার্ড ছিলো। সেসময় কেবল তেল আর চিনি তোলা হতো। এই রেশন কার্ড নিম্নবিত্ত তো বটেই, আমাদের মতো মধ্যবিত্তদেরও অনেক উপকারে আসতো। পরে কোন এক সময় এই রেশন এর সিষ্টেম উঠে গিয়েছিলো।
৩.
এই করোনার সময়ে অনেক মানুষজনই তাদের স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারছে না। সবধরণের শ্রমিক, বাসা বাড়ীর ছুটা বুয়া, রিকশাওয়ালা, দোকানদার সহ অনেকেই আজ কর্মহীন। তাদের কেউ কেউ হয়তো সাহায্য পাচ্ছেন, কিন্তু সেটি হয়তো প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। আবার কতদিন ধরে এই সাহায্য চলবে সেটিও ভাবার বিষয়। আরো কিছুদিন গেলে যে অনেকের ঘরেই খাদ্যাভাব দেখা দিবে সে বিষয়ে সন্দেহ নাই।
এই করোনার সময়ে অনেক মানুষজনই তাদের স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারছে না। সবধরণের শ্রমিক, বাসা বাড়ীর ছুটা বুয়া, রিকশাওয়ালা, দোকানদার সহ অনেকেই আজ কর্মহীন। তাদের কেউ কেউ হয়তো সাহায্য পাচ্ছেন, কিন্তু সেটি হয়তো প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। আবার কতদিন ধরে এই সাহায্য চলবে সেটিও ভাবার বিষয়। আরো কিছুদিন গেলে যে অনেকের ঘরেই খাদ্যাভাব দেখা দিবে সে বিষয়ে সন্দেহ নাই।
সামনে যে অনিশ্চিত সময় আসছে সেটি কিভাবে মোকাবেলা করতে হবে সে সম্পর্কে আসলেই কোন ধারণা নাই।
ফেসবুক মন্তব্য