কান পাঁকা রোগ

কান পাঁকা রোগের কথা শুনতাম ছোটবেলায়। মেয়েদের মনে হয় বেশী হতো। কিন্তু এই রোগে যে কারো মৃত্যু হতে পারে এই প্রথম জানলাম। এক মেয়ে, সদ্য কলেজে ভর্তি হয়েছে। কানে ব্যথা হচ্ছে শুনে বাবা-মা ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেছে। কিছুদিন পরেই হঠাৎ দেখা গেলো মেয়ের কান দিয়ে রক্ত/পূঁজ বের হচ্ছে। সাথে জ্বর। ডাক্তার জানালেন সার্জারী লাগবে।
 
বাবা-মা এই ডাক্তারের কথা না শুনে ভর্তি করলেন এক হাসপাতালে। তারা জানালেন আগের চিকিৎসা ভুল হয়েছিলো। কিন্তু মেয়ে ততোক্ষণে কোমায় চলে গেছে। হাসপাতালের ডাক্তাররা শুরুতে আশার বাণী শোনালেও পরে তারাও আশা ছেড়ে দেন।
 
২ দিন আগে সে মেয়ে চলে গেলো না ফেরার দেশে।

ফেসবুক মন্তব্য

About the author

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।