ঘুষ

ঘটনা অনেক কাল আগের। কাজ করি এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে। সরকারী বিভিন্ন ধরণের নির্মাণ কাজ করে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার একদিন এক সরকারী অফিসে গেলেন বিল সংক্রান্ত কাজে। বিল ছাড় করতে হলে খরচ করতে হয়। আগের দিন রাতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সাথে ফোনে বোঝাপড়াও হয়ে গেছে। সে ভাবেই প্রস্তুতি নিয়ে গেলেন।
 
সেদিন ছিলো বিশ্ব ইজতেমার আখেরী মোনাজাতের দিন। কর্মকর্তার রুমে ঢুকে দেখেন তিনি বাথরুমে ওজু করছেন। আখেরী মোনাজাতে অংশ নিতে যাবেন।
 
ওজু করে এসে ঠিকাদার’কে বসে থাকতে দেখে বললেন ‘কি ভাই এতো দেরী করলেন যে ? আরেকটু দেরী হলে তো বের হয়ে যেতাম।’
এরপর ড্রয়ার এর তালা খুলে দিয়ে বললেন ‘এখানে রাখেন। মোনাজাতে যাচ্ছি। এখন আর হাত দিয়ে ধরবো না।’
 
বাংলায় কি যেন একটা কথা আছে না……
 
ছবি : সংগৃহিত

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।