বাসায় ২টা পানির ফিল্টার আছে। কয়েকমাস পর পর ফিল্টার বদলাতে হয়। সমস্যা হয় না। দোকান থেকে ফিল্টার কিনে এনে নিজেই সেট করে নেই অথবা কোম্পানিকে বললে ওরাই ফিল্টার সহ লোক পাঠিয়ে পরিবর্তন করে দিয়ে যায়।
সাধারণত ভিতরের ফিল্টার পরিবর্তন করা হয়, প্রথমে যে ফিল্টার থাকে ‘মাইক্রোফাইবার মেশ’ ফিল্টার, সেটা সাধারণত পরিস্কার করে একাধিকবার ব্যবহার করা হয়। পানিতে আয়রণ বা অপেক্ষাকৃত বড় অন্য কোন কিছু থাকলে সেটা এই মেশ ফিল্টারে আটকে যায়। বিশেস করে আয়রনের জন্য কিছুদিন পর এটার ভিতরের দিকে অনেক ময়লা জমে যায়।
আমি সাধারণত হান্ড শাওয়ার ফুল স্পিডে দিয়ে এই মেশ ফিল্টার পরিস্কার করি। একদম নতুনের মতো সাদা হয় না, তবে বেশীরভাগ অংশই পরিস্কার হয়ে যায়। তবে এক পর্যায়ে এসে এই ফিল্টারও পরিবর্তন করতে হয়। কোম্পানির দাম ২০০ টাকা। তবে অনলাইনে কিনলে ১৮০ টাকা + শিপিং আর সুপার ষ্টোর থেকে কিনলে ভ্যাট সহ দাম আসে ২১০ টাকা।
কয়েকদিন আগে বাসার ওয়াসার লাইনে ময়লা গন্ধযুক্ত হলুদ পানি এসেছিলো। নিচের / উপরের ট্যাংক পরিস্কার করতে হয়েছিলো। আমরা এখনও বোতলের পানি কিনে খাচ্ছি। তবে ইদানিং পানি ফুটিয়ে ঠান্ডা করে ফিল্টারে দেয়া হচ্ছে। সেই ফিল্টার করা পানি রান্না বা হাড়ি-পাতিল, প্লেট-গ্লাস ধোয়ার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
উপরের মেশ ফিল্টারগুলো যথেষ্ঠই ময়লা হয়েছে দেখে এবার পরিস্কার না করে নতুন কিনে আনা হয়েছে এবং যথারীতি বসানো হয়েছে। আমি এর আগে ইউটিউব / ফেসবুকে দেখেছিলাম যে অনেকেই এই ফিল্টার পরিস্কার করার জন্য নানা টোটকা পদ্ধতি ব্যবহার করেন। বেশ ভালই পরিস্কার হয়। তাই ভাবলাম পুরাতন ফিল্টার এবার এই টোটকা পদ্ধতিতে পরিস্কার করা যাক।
প্রথম পদ্ধতিতে হালকা গরম পানিতে ফিটকিরি + লবন মিশিয়ে ফিল্টারটি সারারাত ডুবিয়ে রাখতে হয়। দ্বিতীয় পদ্ধতি প্রায় একই রকম, কেবল ফিটকিরি আর লবনের জায়গায় ভিনেগার দিতে হয়। আরেকটা পদ্ধতি হলো লেবুর রস ব্যবহার করা।
আমি ২টি পদ্ধতিই ব্যবহার করলাম। কিন্তু ফলাফল আশানুরুপ না। হয়তো মেশ ফিল্টার বেশী ময়লা হয়ে গিয়েছিলো অথবা এই ২ পদ্ধতির তেমন কোন কার্যকারিতা নাই। আমার হ্যান্ড শাওয়ার পদ্ধতিই ভাল। কিছুদিন পর পর পরিস্কার করলে বেশ অনেকদিন ব্যবহার করা যায়। এরপর নতুন একটা কিনে এনে পরিবর্তন করলেই হবে।
ভাল থাকুন সব সময়।
ফেসবুক মন্তব্য