ডাকাত আতঙ্ক

সরকার পতনের পর থেকেই লুটপাট / ডাকাতি হচ্ছে চারিদিকে। শুরুতে লুটপাট কেবল সরকারী স্থাপনা এবং আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্টদের বাসা-বাড়ীতে সীমাবদ্ধ ছিলো। এখন সেটা ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন এলাকায়। গত কয়েকদিন ডাকাতের ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন বিভিন্ন এলাকার মানুষ। 

এক তো ডাকাত তারপর সংখ্যালঘুদের মারপিট / অত্যাচার এবং তাদের বাড়ী-ঘর লুটপাট এবং আগুন দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। তাদের উপাসনালয়ও বাদ যায় নাই। ২টা অপহরণের ঘটনাও সোশ্যাল মিডিয়াতে এসেছিলো, পরে অবশ্য জানা যায় সেগুলি অপহরণ ছিলো না। আর কোন এলাকায় ডাকাত ধরা পড়লে তাদের ছবি সহ পোষ্ট দিলে কেউ কেউ আবার সেগুলি আরেক এলাকার বলে চালিয়ে দিচ্ছে। ফরে সবাই কম-বেশী বিভ্রান্ত যেমন হচ্ছে, সেই সাথে গুজবও ছড়াচ্ছে অব্যাহত ভাবে। 

অবস্থা কবে স্বাভাবিক হবে জানি না। ভাল থাকুন, নিরাপদে থাকুন।

ছবি ক্রেডিট : ফেসবুক

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।