সোনালি ব্যাংক আস্তে-ধীরে ডিজিটাল হচ্ছে এটা আশাপ্রদ। যদিও আরো আগেই হয়তো হওয়া দরকার ছিলো। গত বছর সোনালি ই-ওয়ালেট নিয়ে ব্যাপক আশার সঞ্চার করেছিলো, কিন্তু সেটা আর কাজে আসে নাই। তারপর এলো সোনালি ই-সেবা, যা শুধূমাত্র নতুন একাউন্ট খোলা বা সরকারী ভাতার জন্য ব্যবহার করা যায়। কিন্তু বিশাল সংখ্যক গ্রাহকের জন্য এসএমএস সার্ভিস ছাড়া আর কোন ডিজিটাল সার্ভিস ছিলো না।
ইদানিং ডেবিট / এটিএম কার্ডের প্রচলন বেড়েছে। ই-ওয়ালেট আবার নতুন করে শুরু হয়েছে। তবে এর মধ্যে সোনালি ব্যাংকের সাথে বিকাশের গাঁটছড়া বাঁধার খবরটি ছিলো সবচেয়ে আনন্দদায়ক।
আজ ব্যাংকে গিয়ে ডেবিট কার্ডের আবেদন করে এলাম। সাথে NID card আপডেট করে আসলাম। বাসায় এসে বিকাশে ব্যাংক একাউন্ট যোগ করে দিলাম। শুরুতে অবশ্য বার দূয়েক কি একটা সমস্যা হয়েছিলো, ৩য় বারে কাজ হলো। কিছুক্ষণ আগে ব্যাংক একাউন্ট থেকে ৫০০ টাকা বিকাশ একাউন্টে নিয়ে আসলাম। বিকাশ থেকে ক্যাশব্যাক দিলো ১০০ টাকা। একই ভাবে বিকাশ একাউন্ট থেকে ব্যাংক একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করা যাবে। মানে হলো আমি ব্যাংকে না গিয়েও বাসার কাছের কোন বিকাশ এজেন্ট মারফত বিকাশ এ ক্যাশ ইন করে সেটা ব্যাংক একাউন্টে পাঠিয়ে দিতে পারবো। একই ভাবে ব্যাংক একাউন্ট থেকে বিকাশে টাকা এনে ক্যাশ আউট করতে পারবো। যদিও সার্ভিস চার্জ দিতে হবে, তারপরও সময় বাঁচবে সাথে করোনাকালে কিছুটা নিরাপদও থাকা যাবে।
এভাবেই উন্নতি হোক সব সার্ভিসের। ভাল থাকুন।
ফেসবুক মন্তব্য