দারাজ এ কেনাকাটা

দারাজ থেকে কেনাকাটা করি নিয়মিতই। কখনও অভিজ্আঞতা ভাল কখনও খারাপ। ততবে এবার যা ঘটছে সেটা আগে কখনও হয় নাই। আমি গত ২০শে আগষ্ট, ২০২৪ তারিখে দারাজ থেকে একটি স্ক্রিন প্রটেক্টর অর্ডার করি। অর্ডার নাম্বার 662474655310555 এবং যার শিপিং নাম্বার DEX-BDN-0074870256 এবং সেলার ক্যামেরা হল।
 
গত ২৩শে আগষ্ট তারিখে আমি প্রোডাক্টটি DIGIBOX থেকে গ্রহণ করি। বাসায় এসে প্যাকেট খুলে দেখতে পাই যে সেটি ফাঁটা। সিষ্টেমে (ওয়েব / এপ) তখনও আপডেট হয় নাই, মানে আমি যে প্রোডাক্টটি ডেলিভারী নিয়েছি তা দেখাচ্ছে না। ফলে রিটার্ণও ইনিশিয়েট করা যাচ্ছে না।
 
আমি ২৫ তারিখে সেলারকে জানাই যে প্রোডাক্ট ফাঁটা ছিলো। তারা আমাকে রিটার্ণ করতে বলে। কিন্তু তখনও সিষ্টেম আপডেট হয় নাই। ২ দিন আগে সিষ্টেম আপডেট হয় এবং দেখায় যে আমি প্রোডাক্টটি ডেলিভারী নেই নাই। গতকাল (২৮শে আগষ্ট) উত্তরা ৭ এ অবস্থিত DIGIBOX এ গিয়ে একজন ষ্টাফ’কে পুরো বিষয়টি বললে তিনি জানান যে পুরো বিষয়টি সেন্ট্রালি পরিচালনা করা হয়। তিনি ডিজিবক্সের হেল্প নাম্বারে কল করার পরামর্শ দেন। সেই নাম্বার গতকাল এবং আজ বেশ কয়েকবার কল করেও কোন সাড়া পাই নাই।
 
প্রশ্ন হলো ১৯০ টাকা ফেরত না দেয়ার জন্য নাকি ক্যামেরা হল নামের সেলার এর রেপুটেশন খারাপ হওয়ার ভয়ে এরকম করা হচ্ছে ? হয়তো দেখা যাবে রিটার্ণ করার ৭ দিনের টাইমফ্রেম পার হলে ডেলিভার্ড দেখাবে।
 
আপডেট ১ : eCommerce Reviews | ইকমার্স রিভিউজ গ্রুপে পোষ্ট করার পর কাজ হয়েছে। ডেলিভার্ড দেখাচ্ছে এবং আমিও রিটার্ণ ইনিশিয়েট করেছি।
আপডেট ২ : প্রোডাক্ট ফেরত দিতে গেলে ডিজিবক্সের ষ্টাফ চেক করে জানালেন এটা আর ফেরত দেয়া লাগবে না। ভাউচার ইস্যু হয়ে গেছে। আগে জানতাম ১০০ টাকা এরাউন্ড মূল্যমানের প্রোডাক্ট রিটার্ন ইনিশিয়েট করলে সেটা আর ফেরত দেয়া লাগে না।


 

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।