দৈনিক পত্রিকা

আমার যতদুর মনে পড়ে, স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই বানান করে পত্রিকা পড়া শুরু করেছিলাম। ১৯৭২ সালে পড়তাম ক্লাস টু’তে। বাসায় রাখা হতো দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকা। কি পড়তাম, সেসব হয়তো বুঝতাম না, কিন্তু পড়তাম। পড়তে পড়তে এমন অবস্থা হলো যে বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে শেষে প্রিন্টার্স লাইন পর্যন্ত পড়ে ফেলতাম। পূর্বদেশ এর পর ইত্তেফাক। আব্বা মাঝে মধ্যে নবারন আর কি যেন একটা শিশুতোষ ম্যাগাজিন নিয়ে আসতো। সবই ধীরে ধীরে পড়া শুরু করলাম। আম্মা বেগম এর ঈদ সংখ্যা রাখতো, সেটাও সারা বছর ধরে পড়া হতো।
 
বড় কাক্কার বাসায় রাখা হতো বিচিত্রা। বেড়াতে গেলে সেগুলো ছিলো অবশ্য পাঠ্য। পুরাতন বিচিত্রা এক সাথে বাঁধাই করে বেশ কয়েক খন্ড ছিলো, সেগুলো ছিলো সোনার খনি। কিন্তু তারা ধানমন্ডিতে নিজেদের বাসায় যাওয়ার পর সেগুলো আর দেখি নাই।
 
পত্রিকা পড়ার অভ্যাস এখনও আছে। বেশীর ভাগ সময় অনলাইনে একাধিক পত্রিকা পড়ি। তবে আগের মতো গোগ্রাসে সব পড়ার অভ্যাস আর নাই।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।