বইমেলা ২০২৫

এবারের বই মেলায় যাই নাই, ইচ্ছে করেই। অবশ্য বই মেলায় গিয়ে কালে-ভদ্রে বই কিনেছি। আগে বই মেলায় গিয়ে ঘুরতাম আর বিভিন্ন প্রকাশনীর ক্যাটালগ সংগ্রহ করতাম। সেস সময় আমার বই কেনার বাজেট ছিলো খূবই সীমিত। তা দিয়ে হয়তো এক-আধটা সেবা প্রকাশনীর বই আর উন্মাদ কিনতাম। এরপর দেখা গেলো বই মেলায় ঘুরতে যাই আর ছবি তুলি। বই মেলা শেষ হলে বিভিন্নজনের রিভিউ পড়ে অনলাইনে বই এর অর্ডার দেই। এই সিস্টেমেই চলছিলাম কয়েক বছর ধরে। অবশ্য মাঝের বেশ কয়েকটা বছর মেলায় যাওয়া হয় নাই – বাসায় আব্বা-আম্মা দূজনেই অসুস্থ ছিলেন, সেই সাথে করোনা। গত বছর অবশ্য গিয়েছিলাম। তবে বই কিনেছি অনলাইনে।
 
এবারও গোটা ১২ বই এর অর্ডার দিয়েছি।
০১ – বৃহত্তর ঢাকা জেলার প্রত্নকীর্তি – আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া
০২ – বাংলাদেশ : ৬৪ জেলায় ভ্রমনকথা – দীপ্ত চৌধুরী
০৩ – আসদুগানে ঢাকা – হেকিম হাবিবুর রহমান
০৪ – ঢাকা পঞ্চাশ বছর আগে – হেকিম হাবিবুর রহমান
০৫ – দু’চাকায় দেখতে দেশ – সজল জাহিদ
০৬ – ভবিষ্যতের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ থেকে সাফল্য – রবিন রাফান
০৭ – ক্রিয়েটিভ কন্টেন্ট এবং সফল ক্যারিয়ার – রবিন রাফান
০৮ – এভারেষ্ট ও লোৎসে শিখরে – বাবর আলি
০৯ – পূর্ব আফ্রিকার তিনকাহন – এলিজা বিনতে এলাহী
১০ – ভ্রমণগদ্য সংকলন – সময় প্রকাশন
১১ – ফাহমিদা নবীর ডায়েরী – ফাহমিদা নবী
১২ – আফ্রিকার দিনরাত্রি – আফসান চৌধুরী
 
জোবেরা রহমান লিনুর লেখা জীবনজালের এপার ওপার এর ব্যাপারে আগ্রহ ছিলো, কিন্তু অনলাইনে কেউই সংগ্রহ করতে পারে নাই। শাহবাগে নিজেই হয়তো যেতে হবে এই বই সংগ্রহ করার জন্য।
 
আরো কয়েকটি বই সংগ্রহ করার ইচ্ছে আছে। আপনার কোন সাজেশন থাকলে জানাতে পারেন।

সাজেশন পেলাম এশিয়াটিক সোসাইটির ঢাকা কোষ সংগ্রহ করার।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।