বাসায় মাস দেড়েক ধরে এই বিড়ালের আনাগোনা চলতেছে। প্রথমে দেখতাম মায়ের সাথে ঘুরতেছে। তখন মনে হয় মায়ের দূধ খেতো। মা’কে ছেড়ে খূব একটা দূরে যেতো না। এরপর একটু একটু করে সাহস বাড়লো, বারান্দায় চলে আসতো গ্রিলের ফাঁক দিয়ে।বাসার কাউকে দেখলে আবার দৌড়। বাসার ছোট বড় সবাই এক আধটু খাবার দেয়া শুরু করলো, সেসময়ও কাছে আসতো না। খাবার বারান্দায় রেখে সরে গেলে এক ছুটে এসে খাবার মূখে নিয়েই আবার দৌড়। ভাত-তরকারী দিলে কোন এক ফাঁকে এসে খেয়ে যেতো। এরপর এর সাহস আরো বাড়লো। আমার আম্মা অসুস্থ, তাকে আমার বোন মূখে তুলে খাওয়ায়। বিড়াল ব্যাপারটা ধরে ফেলেছে, সে ঠিক ঐ সময়ে এসে হাজির হয়। আগে দূরে বসে মিঁউ মিঁউ করতো, এখন পায়ে পায়ে ঘোরে। বাসার সবাই বেশ মজা পাচ্ছে এইটাকে নিয়ে। তবে সমস্যা হলো ধরতে গেলে খামছি দিতে চায়, নয়তো দাঁত বের করে কামড় দেয়ার ভঙ্গি করে। আরেক মজা – বুয়াকে ঘর ঝাড়ু দিতে দেখলেই ঝাড়ু খামচে ধরে। ঝাড়ু দিতে দেয় না। ঘরের দরজা আটকে দিলে আবার অস্থির হয়ে পড়ে বের হওয়ার জন্য।
মজাও লাগে, আবার ভয় ও হয় আম্মাকে না জানি করে আবার খামচি দিয়ে বসে।
(ফেসবুক ষ্ট্যাটাস অক্টোবর ১৩, ২০১৪)
এই বাচ্চা বিড়াল বড় হয়ে নিজেই বার তিনেক ৩/৪টা করে বাচ্চা দিয়েছিলো। প্রতিবার ই দেখা যেতো বাচ্চা নিয়ে কোন ফাঁকে যেনো বাসায় ঢুকে যেতো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোন বাচ্চাই বাঁচে নাই। গোটা দূয়েক বাচ্চা বড় হয়েছিলো। কিন্তু একটা বাচ্চা মারা গেলো গাড়ির নিচে পড়ে আরেকটা অসূখে। এই বিড়ালটিও ২/৩ বছর আগে অসূস্থ হয়ে মারা যায় বলে শুনেছি।
ফেসবুক মন্তব্য