ঢাকা শহরের যানজট নিরসনে সরকার বেশ কিছু প্রকল্প গ্রহন করেছে। তার কোনটি শেষ হয়েছে, কোনটি আংশিক, কোনটি চলমান। কিন্তু দেখা যাচ্ছে প্রায় প্রতিটি প্রকল্পেই কোন একটি সমস্যার কারণে পুরোপুরি কাংখিত সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না।
যেমন ধরেন মহাখালি ফ্লাই ওভারের কথা। রেল চলাচলের কারণে এখানে প্রতিনিয়তই যানজট লেগে থাকতো। রেল লাইনের উপর দিয়ে গাড়ি চলাচল করায় এখন মহাখালিতে হয়তো সেরক জ্যাম তৈরী হচ্ছে না, কিন্তু এখন জ্যাম তৈরী হচ্ছে বনানী কাকলী মোরে। অথচ এই ফ্লাই ওভার যদি বনানী পার করে একমাথা উত্তরার দিকে এবং আরেক মাথা গুলশান ২ এর দিকে নামিয়ে দেয়া হতো তাহলে হয়তো এতো জ্যাম হতো না। আরেকটি কাজ করা যায় এখনও, গুলশানমুখী গাড়ীগুলি বসাসী কাকলিতে না ঘুরিড়ে সোজা সামনের িকে গিয়ে নেভি হেডকোয়ার্টারের কাছে রেললাইনের আগে ঘুড়িয়ে দেয়া। একই ভাবে গুলশান ২ থেকে উত্তরাগামী গাড়ীগুলি বনানীতে না ঘুরে মহাখালি আমতলী দিয়ে ঘুরে আসলে হয়তো যানজট কমানো যেতো। বনানী দিয়ে ঘোরার পথ সম্পূর্ণই বন্ধ করে দিতে হবে।
তেজগাঁও থেকে বিজয় স্মরণী যে ফ্লাই ওভার সেটিও শেষ করা হয়েছে মোর পার না করে। ফলে ফার্মগেট-জাহাঙ্গীর গেট এবং তেজগাঁও-বিজয় স্মরণী-সংসদ ভবনের দিকে (এবং বিপরীতক্রমে) সবসময়ই লম্বা সময় সিগনালে বসে থাকতে হয়। অথচ ফ্লাই ওভারটি বিজয় স্মরণী মোর পার হয়ে নভো থিয়েটারের সামনে নামলে এতো লম্বা সিগনাল হতো না। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে দিয়ে উত্তরা থেকে ফার্মগেট পৌছানো যায় সহজে কম সময়ে। কিন্তু আপনি বিপরীতক্রমে উ্তরা যেতে চাইলে এই বিজয় স্মরণী সিগনালে অনেকক্ষণ বসে থাকতে হবে। একই কথা প্রযোজ্য এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এফডিসির সামনের নামার পথটি নিয়ে। সেখানে এখন নিয়মিত যানজট হচ্ছে।
এয়ারপোর্ট থেকে গাজীপুর পর্যন্ত যে বিআরটি লাইন ৩ প্রকল্প চলমান, সেটি যদি পুরোটাই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মতো উপর দিয়ে হতো সরকারী বাস এবং ব্যক্তিগত যানবাহনের জন্য তবে মনে হয় ভাল হতো। পুরো অংশ চালু হলে এবং সরকারী বাস নামলে বুঝা যাবে আসলে কতটুকু কাজে আসবে এই প্রকল্প।
তবে আশায় আছি ২০৩০ সাল দেখার, বেঁচে থাকলে হয়তো দেখে যেতে পারবো মেট্রোরেলের কারণে ঢাকা শহরে আর কোন যানজট হচ্ছে না। ভাল থাকুন, নিয়ম মেনে চলাচল করুন।
ফেসবুক মন্তব্য