যত দোষ নন্দ ঘোষ

মথুরাপতি কংসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য কৃষ্ণকে জন্মের পরপরই বৃন্দাবনের ঘোষপল্লীতে নন্দ ঘোষের বাড়িতে রেখে আসেন বাসুদেব। তারপর সেখানেই নন্দ আর যশোদার কোলে বেড়ে উঠতে থাকে দেবকী পুত্র কৃষ্ণ।
 
ছোটবেলা থেকেই অসম্ভব দুরন্ত কৃষ্ণ।কখনো লোকের বাড়ি থেকে মাখন-ননী চুরি করে খেয়ে নিচ্ছে, কিংবা হয়তো সরোবরে স্নান করতে নামা নারীদের পোশাক লুকিয়ে ফেলছে। তো বৃন্দাবনবাসীর ঘুম হারাম করে দিচ্ছিল ছোট্ট নন্দলাল।
 
সবাই নিজেদের নালিশ নিয়ে যেত পিতা নন্দ ঘোষের কাছে। নন্দ ঘোষও খুব মনোযোগ দিয়ে এই সমস্ত নালিশ শুনতেন। কিন্তু পুত্রকে তিনি এতই স্নেহ করতেন যে ছোট্ট কৃষ্ণের মুখের দিকে চেয়ে কিছুই বলতে পারতেন না।
 
ফলে সব রাগ-ক্ষোভ গিয়ে পড়তো নন্দ ঘোষের উপর। বৃন্দাবনবাসী মনে করলো, এই নন্দ ঘোষের প্রশ্রয় পেয়েই এত বাড় বেড়েছে কৃষ্ণের। ঘোষ মশাইও অম্লান বদনে মাথা পেতে নিতেন সমস্ত দোষ।
 
আর সেখান থেকেই এল ‘যত দোষ নন্দ ঘোষ’।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।