রিফ্লেক্স একশন

রিফ্লেক্স একশন ধরতে গেলে একেবারেই নাই এখন। যেমন এবার ঘাটাইল গিয়ে একটা অদ্ভুত দর্শন বাহন দেখেছিলাম। দেখতে অনেকটা মিনি ট্রাকের মতো। তবে সামনে ইঞ্জিনের জায়গায় একটা শ্যালো মেশিন বসানো। ভট ভট আওয়াজ করে চলছিলো। আমি এই অদ্ভুত গাড়ী দেখে এতোটাই বিমোহিত হয়েছিলাম যে হাতে থাকা ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলার কথা বেমালুম ভুলে গিয়েছিলাম।
 
তারপর, গতকাল বাসা থেকে বের হওয়ার পরই দেখি এক ব্যাটারী রিক্সা। চালকের মাথায় হলুদ হেলমেট। মোটর সাইকেলের হেলমেট না, শ্রমিকেরা যেসব হেলমেট ব্যবহার করে। আমি হেসে চালক’কে জিজ্ঞাসা করলাম এক্সিডেন্টের ভয়ে না রোদের জন্য। চালকও হেসেই জবাব দিলো দুইটার কাজই চলতেছে। এবারও ছবি তোলার কথা চট করে মাথায় আসে নাই।
 
কি আর করা। বয়স হচ্ছে, মেনে নিতেই হবে।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।