চলচ্চিত্রে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের বড় হয়ে উঠা হরহামেশাই দেখানো হয়। তবে সেটা করা হয় ভিন্ন ভিন্ন অভিনেতা বা অভিনেত্রীদের দিয়ে। মানে ছোটবেলায় কোন শিশু অভিনেতা-অভিনেত্রী, বড়বেলায় অন্য কোন অভিনেতা-অভিনেত্রী।
তবে নেটফ্লিক্সের কোবরা কাই কিংবা ষ্ট্রেঞ্জার থিংস এর বেলায় ব্যাপারটা একটু ভিন্ন। কারাতে কিড এ যারা অভিনয় করেছিলেন, তাদের নিয়েই তৈরী হয়েছে কোবরা কাই। কারাতে কিড এর কিশোর-কিশোরীরাই প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে অভিনয় করেছেন কোবরা কাই এ। এখানে আমরা (দর্শক) নিজেরাও অনেকেই কিশোর থেকে প্রাপ্তবয়স্ক কিংবা প্রৌঢ়। হয়তো একারণেই একধরণের নষ্টালজিয়া কাজ করেছে দেখার সময়।
ষ্ট্রেঞ্জার থিংস এ অবশ্য নষ্টালজিক হওয়ার কোন সূযোগ ছিলো না। এটা হাল আমলের সিরিজ। এপর্যন্ত ৪টি সিজন প্রচারিত হয়েছে। তবে করোনার কারণে সিজন ৩ থেকে ৪ প্রচারিত হওয়ার মাঝে সময় গেছে ২-৩ বছর। এসময় এর অভিনেতা-নেত্রীদের বয়সও বেড়েছে। মিডল স্কুল থেকে তারা এখন হাই স্কুলের শিক্ষার্থী। একই অভিনেতা’কে একই সিরিজে ধীরে ধীরে বড় হতে দেখা কিন্তু বেশ ইন্টারেষ্টিং। প্রথম সিজনে যে পিচ্চি উইল হারিয়ে গিয়েছিলো, সে এখন বেশ বড়। লম্বায় যেমন বড় হয়েছে, গলার স্বরও তেমন ভারী হয়েছে। বাকিদেরও বেশ পরিবর্তন হয়েছে। তবে সিরিজের বাইরে তাদের পরিবর্তস চোখে পড়ার মতন।
মিলি ববি ব্রাউন, যে এই সিরিজের অন্যতম প্রধান চরিত্র ইলেভেন বা এল – তাকে সিরিজের বাইরে রীতিমতো অচেনাই লাগে। কয়েকদিন আগে ইউটিউবে এক সাক্ষাতকারে মিলি ববি ব্রাউনকে চিনতে একটু সময় লেগেছিলো।
কল্প-কাহিনী হলেও এই ষ্ট্রেঞ্জার থিংস কিন্তু উপভোগ্য। এখন অপেক্ষায় আছি সিজন ৪ এর পরের পর্বের জন্য।
১লা জুলাই, ২০২২ পরবর্তী পর্ব
ফেসবুক মন্তব্য