… দূপুরে খাওয়ার পর একটা আয়েসি ঘুম দিচ্ছিলাম। দরজা ধাক্কানোর শব্দে ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো। কেয়ার টেকার সিদ্দিক মিয়া জানালো এক অদ্ভূত লোক এসে তার রুমে এসে জেকে বসেছে, সে কিছু বলতে পারছে না। আমি দিলাম এক ধমক, কতোদিন বলছি গেটে তালা দেয়ার জন্য। কথা শুনো না কেন।
এরপর গজগজ করতে করতে নিচে নামলাম। সিদ্দিক মিয়ার রুমে গিয়ে দেখি বিশাল দেহধারী একজন বসে আছে। আমাকে দেখেই উঠে দাড়ালো, এরপর খপ করে আমার হাতটা ধরে বললো – ভাই আমি সজল খালেদ। শাহজাহানপূর যাব। কিন্তু কিছু চিনতেছি না। আমার তখন বোকা হবার পালা্ আমি চিন্তা করছি কোন সজল খালেদ। আমার মূখের দিকে তাকিয়ে বপুধারী বললো – চিনলেন না, আমি এভারেষ্ট জয়ের পর নামতে গিয়ে হারিয়ে গিয়েছিলাম। আমি আস্তে করে লোকটার হাতে একটা চিমটি দিলাম। লোকটা আমার হাত ছেড়ে দিয়ে বললো – চিমটান ক্যান।
বললাম – শাজাহানপুর গেলে সব চিনতে পারবেন ? লোকটা হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়তেই আমি সিদ্দিক মিয়াকে বললাম – একটা সিএনজি দেখো তো, শাহজাজানপুর যাব।
এরপর সোজা শাহজাহানপূর। মোরের কাছে আসতেই বপুধারী ড্রাইভারকে ডিরেকশন দেয়া শুরু করলো কোন দিকে যেতে হবে। শেষে আমরা একটা বাসার সামনে থামলাম। এক মহিলা ছোট একটা বাচ্চার হাত ধরে এই বাসার দিকেই আসছিলেন। বপুধালী মহিলার দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে উঠলেন – শৈলী !!! মহিলার মূখটা পূরো হা হয়ে গেল …
….. এলার্মের শব্দে ঘুমটা ভাঙ্গলো, স্বপ্নটা আর পূরো দেখা হলো না।
[সজল খালেদ বা শৈলী কেউ আমার পরিচিত না। এবিসি রেডিওর আরজে শৈলীর প্রোগ্রাম শুনেছি কয়েকটা, এই পর্যন্তই। আর সজল খালেদের কথা জেনেছি এভারেষ্ট জয়ের পর তার মর্মান্তিক মৃত্যুর সংবাদেই। সজলের লাশটা রিকভার করা যায় নাই সেটা জেনেছি খবরে। হয়তো এটাই এই অদ্ভূত স্বপ্নের মূল]
Photo Credit : Photo by colour comet on Unsplash
ফেসবুকে ষ্ট্যাটস দিয়েছিলাম ২০১৩ সালের ৯ই জুলাই
ফেসবুক মন্তব্য