স্বর্ণের সন্ধানে

এক ডাকাত ধরা পড়ে জেলে গেছে। তার বৃদ্ধ বাবা ছেলেকে চিঠি লিখলো, ‘তুমি এখন জেলে। আমিও বুড়ো হয়ে গেছি। আমাদের জমিটা চাষ করার মতো শক্তি নাই। সামনে হয়তো না খেয়েই মরতে হবে’। ছেলে উত্তর দিলো, ‘ঐ জমি চাষ করার দরকার নাই। আমি ঐ জমিতে কিছু জিনিস লুকায় রাখছি’। নিয়মমোতাবেক যথারীতি জেলারের কাছে গেলো সেই চিঠি। জেলার চিঠি পড়ে মনে করলো ব্যাটা নিশ্চয়ই ডাকাতির সোনা-দানা ঐ জমিতে পুতে রেখেছে।
 
পরদিন বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পুরো জমি খুঁড়ে তন্ন তন্ন করে লুকানো সোনা-দানা খূজলো, কিন্তু কিছুই পেলো না। ছেলে বৃদ্ধ বাবাকে চিঠি দিলো। এখন জমিতে ফসল লাগাও। আমি জেলে বসে আর কিছু করতে পারলাম না।
 
ঠাকুরগাঁও এ কোন এক ইট ভাটায় শয়ে শয়ে লোকজন মাটি খুঁড়ে সোনার সন্ধান করতেছে। ফেসবুকে ভিডিও দেখে গল্পটা মনে পড়লো।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।