হাটখোলার মঠ

গেন্ডারিয়ায় বোনের শ্বশুরবাড়ীতে যাওয়ার সময় হাটখোলায় ইত্তেফাক মোর পর হয়ে টিকাটুলির দিকে এগিয়ে গেলে হঠাৎ করেই একটি ছোট স্থাপনা চোখে পড়বে। ভাঙ্গাচোরা, উপরে বিশাল এক গাছ গজিয়ে আছে। বট না পাকুর জানি না। দেখার পর প্রতিবারই মনে হতো এই স্থাপনা সম্পর্কে জানতে হবে। হঠাৎ করে ফেসবুকের এক গ্রুপে জানতে পারলাম এটি একটি শতবর্ষী মঠ। ঠিকানা হলো ৩৬/বি, হাটখোলা রোড, টিকাটুলি। এই সড়কের বর্তমান নাম অবশ্য সৈয়দ নজরুল ইসলাম রোড।

এই মঠটি ছিলো লক্ষীনারায়ন কটন মিলস এর মালিকের পারিবারিক মঠ। তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিলো সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়নগঞ্জ)  এর গোদনাইল এলাকায়। 

গত ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ঘুরতে ঘুরতে চলে গিয়েছিলাম মতিঝিল। শাপলা চত্বর থেকে হাটতে হাটতে একেবারে ইত্তেফাক পত্রিকা অফিসের কাছে। দেশবন্ধু সুইটমিটে তাদের বিখ্যাত রুটি-ভাজি দিয়ে দুপুরের খাবার শেষ করে চলে গেলাম অভিসার সিনেমার কাছে। কিন্তু মঠটি নজরে পড়ছিলো না। রাস্তায় গাড়ীর চাপও ছিলো বেশ। একটার পর একটা ছোট-বড় বাস যাচ্ছে, সাথে অন্যান্য যানবাহন তো আছেই। পরে এক এটিএম বুথের গার্ডের কাছে জিজ্ঞাসা করতেই দেখিয়ে দিলো। 

সেসময় ছবি তোলা ছিলো বেশ কঠিন। গাড়ীর জন্য পিছন দিকে যেতে পারছিলাম না। পুরো স্থাপনার ছবি সামনে থেকে নেয়া বেশ কঠিন ছিলো। জ্যামের সূযোগ নিয়ে গাড়ীর ফাঁকফোকর দিয়ে কয়েকটা ছবি নিতে পেরেছিলাম। গাড়ীর ড্রাইভার এবং রিকশাওয়ালারাও গতি কমিয়ে সাহায্য করেছিলো।

পরে কোনদিন গিয়ে ছোট একটা ভিডিও করে নিয়ে আসবো ভাবছি।

তথ্য : Voyage Guide Bangladesh
ছবি : নিজের তোলা

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।