লো / হাই প্রেশার কিংবা ব্লাড সুগার দুটোই মারাত্মক হতে পারে, যদি সময়মতো ব্যবস্থা না নেয়া হয়। এর মধ্যে লো প্রেশার বা ব্লাড সুগার আপনি বাসাতেই স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে পারেন। কেবল খেতে / খাওয়াতে হবে। সেই সাথে ঔষধ / ইনসুলিন সাময়িক ভাবে বন্ধ করতে হবে।
কিন্তু প্রেশার বা ব্লাড সুগার বেড়ে গেলে সেটি নিয়ন্ত্রনের জন্য অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। একটা পর্যায় পর্যন্ত হয়তো ইনসুলিনের মাত্রা ২ মাত্রা বাড়ানো যায়। এরপর? একই কথা প্রেশার বেড়ে গেলে। হাসপাতালে নিলে ডাক্তারের প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে এবং নিয়মিত বিরতিতে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমেই এই সমস্যা থেকে উত্তরন সম্ভব।
আমার বাসার লোকজনদের এই কথাগুলো বুঝাতে আমি সম্পূর্ণ ব্যর্থ। তারা সুগার সামান্য কমলেই ইনসুলিন বাদ দিতে আগ্রহী। লো সুগার থাকলে খাবার দিয়ে, গ্লুকোজ পানি বা চিনির সরবত দিয়ে সুগার লেভেল বাড়ার পর ইনসুলিন দেয়া যেতে পারে। একবারে না দিলে প্রতি বেলায় সুগার লেভেল চেক করতে হয়, যাতে সেটা হঠাৎ করে নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে না যায়। অথচ বাসার লোকজন রোগীর ডাক্তারের পরামর্শের চাইতে প্রবাসী আত্মীয় ডাক্তার, অমুক-তমুক ডাক্তার আর হাফ ডাক্তাররূপী আত্নীয়দের পরামর্শের উপর বেশী আস্থা রাখেন। একই রোগে কাতর দূ’জন রোগীর চিকিৎসা যে ভিন্নতর হতে পারে সেটা মনে হয় মানেন না। আরো একটা সমস্যা হলো কোন কারনে ঔষধ বাসায় না থাকলে, সেটা বাদ দেয়া।
এবার আব্বার প্রেশার অত্যাধিক বেড়ে যাওয়ার কি কারন থাকতে পারে সে সম্পর্কে ডিউটি ডাক্তার’কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। ডাক্তার বললেন প্রথমত ঠিকমতো ঔষধ না খাওয়া। অনেকদিন ধরে একই ঔষধ খেতে থাকলে অনেক সময় সেটার কার্যকারিতা কিছুটা কমে, তখন যদি ঔষধ বাদ দেয়া হয় অলসতা করে, প্রেশার হঠাৎ করে বেড়ে যেতে পারে। আর বয়স অনেক বেশী হলে অনেক কিছুই ঘটতে পারে।
আপনার পরিবারে অসুস্থ কেউ থাকলে ডাক্তারের কথার উপর ভরসা রাখুন। আজ এই ডাক্তার কাল ঐ ডাক্তার – এভাবে চিকিৎসা আসলে হয় না। আর হাফ ডাক্তাররূপী আত্মীয় প্রয়োজনে এড়িয়ে চলুন। আপনার ডাক্তার যা বলবে সেটাই মেনে চলুন।
ভাল থাকুন।