ঢাকা দক্ষিন সিটি করপোরেশন নাকি ৩০ হাজার কুকুর অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থা করেছে।
রাস্তার কুকুরের কথা মনে হলে কোন এক টিভি চ্যানেলের এক রিপোর্টের কথা মনে পরে। শীতকালে ফুটপাতে থাকা বালক আর কিশোরেরা রাস্তার কুকুরকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাতো সামান্য একটু উষ্ণতার আশায়। এক বালকের কথা এখনও কানে বাজে “আইতে না চাইলে আঙ্গাইয়া নিয়া আহি”, রিপোর্টে দেখানোও হয়েছিলো এক অনিচ্ছুক কুকুরকে কয়েকজন মিলে চ্যাংদোলা করে নিয়ে যেতে।
উত্তরায় বিড়াল-কুকুরের কোন অভাব নাই। কুকুর থাকায় একটা বড় সূবিধা হলো কোন অপরিচিত লোক বা বাহন দেখলেই পিছু নেয়। সন্দেহজনক কিছু দেখলে চিৎকার শুরু করে। বিশেষ করে কোন গাড়ী স্পিডে চললে কুকুর চিৎকার দিয়ে ধাওয়া দিবেই। তবে মাঝে মধ্যে সমস্যাও হয়। বেপাড়ার কুকুর ভুলক্রমে বা অন্য কোন কারণে এপাড়ায় চলে এলেই শুরু হয় তর্জন গর্জন। মাঝ রাতে অনেক সময়ই ঘুম ভেঙ্গে যায়।
নানা ভাবেই রাস্তার কুকুরের সংখ্যা কমানোর চেষ্টা আগেও হয়েছে, এখনও হয়। আশির দশকে সিটি কর্পোরেশন থেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হতো কুকুর। গতবছর দেখলাম কুকুরের গায়ে গোলাপি রং দেয়া, খোঁজ নিয়ে জানলাম কুকুর যাতে বাচ্চা না দেয় সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
খবর : ফেসবুক
ছবি : Photo by Helena Lopes from Pexels
ফেসবুক মন্তব্য