১. কোন কিছুই মনে হয় ঠিক ভাবে চলছে না। জীবনযত্রার ব্যয় তো দিন দিন বাড়ছেই, তার সাথে যোগ হলো জ্বালানী তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি। ফলশ্রুতিতে বাস ভাড়া / ট্রাক ভাড়া বাড়বে। ফলে বাড়বে অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম। অন্যান্য জিনিসের দামও বাড়তির দিকে। সেদিন আব্বার একটা ঔষধ কিনতে গিয়ে দেখি সেটার দামও বাড়তি। একপাতা Dicaltrol ক্যাপসুলের দাম ছিলো ১৫০ টাকা, এখন ১৮০ টাকা। বাকিগুলোর কি অবস্থা কে জানে। প্রতি মাসে কেবল ঔষধই কেনা লাগে ৬ হাজার টাকার মতো। সাথে অন্যান্য ওষধ যেগুলো নিয়মিত না, সেগুলো তো আছেই। এডাল্ট ডায়পার কিনি ৭৫০০ টাকার। প্রোটিমিল ডিএম নামে একটা ফর্মূলা কিনতে হয় ৯৫০ টাকা দিয়ে, প্রতি মাসে ৫-৬টা লাগে। এলবুমিন কমে গেলে ১৩৫০ টাকা দিয়ে আরেকটা ফর্মূলা কিনতে হয়। এলবুমিন এর জন্য ডাক্তার আরেকটা ঔষধ দিয়েছে স্যালাইন এর সাথে দেয়ার জন্য, সেটার দাম ৭ হাজার টাকা। তারপর বেড সোর হলে একটা স্প্রে আছে বিদেশী ১৪৫০ টাকা থেকে ১৭৫০ টাকা পর্যন্ত দাম উঠানামা করে। বড়জোর দিন পাঁচেক ব্যবহার করা যায়। তারপরও চলতে হবে। যে ভাবেই হোক।
২. স্মৃতিশক্তি দিন দিন কমতেছে। অথচ আমার স্মৃতিশক্তি অন্যান্যদের তুলনায় ভাল এই নিয়ে বেশ গর্ব ছিলো। সেদিন বাসায় কয়েকজন মেহমান এসেছিলেন। আমি ভাগ্নের শ্বশুরকে জিজ্ঞাসা করেছি ‘আপনার মা কেমন আছেন’। ভদ্রলোক খূব অবাক হয়ে বললেন ‘মা তো নাই। গত জানুয়ারীতে মারা গেছেন’। আমি তো পুরাই বেকুব হয়ে গেলাম। পাশে দূলাভাই ছিলেন, উনিও কিছুটা বিব্রত হলেন। অথচ অনেক চেষ্টা করেও আমি মনে করতে পারলাম না যে ওনার মায়ের মৃত্যু সংবাদ শুনেছিলাম কিনা। না শোনার কোন কারণ নাই। আমার কেবল মনে আছে ওনাদের আরেক আত্মী মারা গিয়েছিলেন সেসময় বাসা থেকে বোন-দূলাভাই গিয়েছিলেন। ভাগ্নের বউ গিয়ে করোনা নিয়ে বাসায় ফিরলো, তার থেকে আমার বোনের হলো। বোন জানালো দূ’জনেই প্রায় একই সময়ে মারা গিয়েছিলেন, হয়তো কয়েকদিনের এদিক-সেদিক।
আজ এপর্যন্তই। ভাল থাকুন, এটলিষ্ট চেষ্টা তো করবেন ভাল থাকার।
ফেসবুক মন্তব্য