প্রশ্ন ছিলো ষ্ট্রিট / লাইফ ষ্টাইল ফটোগ্রাফি করতে গিয়ে অড সিচুয়েশন পড়েছি কি না ?
আমার উত্তর ছিলো এরকম – ঠিক সেরকম ভাবে হয় নাই তবে ২/৩ বার দোকানে ছবি তুলতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ছি। একবার ‘দেশী দশ’ এ শেলফে শ্ট্যাক করে রাখা শাড়ির ছবি তুলতে চেয়েছিলাম। ম্যানেজার’কে জিজ্ঞেস করার পর সে মানা করছিলো। এতে নাকি তাদের ডিজাইন কপি হয়ে যেতে পারে। দ্বিতীয় বার Ecstasy এর শো রুমের বাইরে দিকে সাজানো ম্যানিকুইনের ছবি তুলতে গিয়েছিলাম, গার্ড দৌড়ে এসে জানালো ছবি তোলা যাবে না। তাঁতীবাজারে একবার সোনার দোকানের ছবি তুলতে চেয়েছিলাম। মালিক যথারীতি মানা করলেন এবং বললেন যে সোনার দোকানের ছবি তুলতে গেলে লোকজন ভুল বুঝতে পারে। আরো একবার রাস্তায় ছবি তুলছিলাম, হুইলচেয়ারে বসা এক ভিক্ষুক তার ছবি তোলার জন্য পীড়াপীড়ি করছিলো। ছবি তোলার পর তাকে ভিক্ষা দিতে হবে। ১০ টাকা দেয়ার পর তার চিৎকার – আমি নাকি তার ছবি বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা পাবো আর তাকে মোটে ১০ টাকা দিলাম। আমি তাকে দেখিয়ে তার ছবি ডিলিট করে বললাম এবার আমার টাকা ফেরত দাও। বেচারা গজগজ করতে করতে হুইলচেয়ার ঊল্টাদিকে ঘুরিয়ে ফেলছিলো।
ফেসবুক মন্তব্য