অবসাদ

কি এক অবসাদে পেয়ে বসেছে। কোন কিছুই করতে ভাল লাগে না। অনেক দিন হয়ে গেলো ব্লগে কোন কিছু লিখছি না। ফটোগ্রাফিও তেমন একটা করা হচ্ছে না। তবে ফটোগ্রাফির কোর্স নিয়মিত করছি। সামনে হাতে কলমে অনুশীলন আছে। আশা করছি ভুলত্রুটি যা আছে, এসব এই অনুশীলন ক্লাসে ঠিক করে নিতে পারবো। 

এরমাঝে আবার বাম হাত ভেঙ্গেছিলো। একমাস প্লাষ্টার করা অবস্থায় ছিলো। প্লাষ্টার করা অবস্থায় গোসল করতে পারি নাই ঠিকমতো। কোন কিছু এই হাতে তুলতেও পরি নাই। প্লাষ্টার খোলা হয়েছে। গোসল করার সময় দেখি এই একমামে বাম হাতে তো বটেই, পুরো শরীরে্ই প্রচুর ময়লা জমেছে। পরবর্তী ২ মাস ভারী কিছু এই হাত দিয়ে তোলা নিষেধ। ক্যামেরা ব্যবহার করছি সাবধানে, যাতে এই হাতের উপর চাপ না পরে এমনভাবে। আপাতত এভাবেই চলছে।

নতুন করে আবার লেখাঝোকা শুরু করতে হবে। এবছর বই পড়া তেমন একটা হচ্ছে না। সিনেমা দেখছি, মাঝে মধ্যে। বাইরে ঘোরাঘুরি তো ধরতে গেলে বাদই। গত ২/৩ মাস ধরে হাটাচলাও কম হচ্ছে। ফলাফল ওজন এবং ব্লাড সুগার দুইই বেড়েছে। এই অবস্থা থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছি। দেখা যাক কি হয়।

ফটো ক্রেডিট : গুগল জেমিনি এআই

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।