এনডি ফিল্টার : ট্রিক্স

ভোরে বা সন্ধ্যার দিকে ল্যান্ডস্কেপ ফটোগ্রাফী করতে গেলে আমরা সবাই অবধারিত ভাবেই একটি সমস্যায় পড়ি। দিগন্ত রেখার উপরে আকাশের অংশ টুকু ছবিতে স্বাভাবিক ভাবেই চলে আসে, কিন্তু নিচের ভূমির অংশ টুকু হয়ে যায় আন্ডার এক্সপোজড (শ্যাডো)। আবার এই অংশ টুকু পার্ফেক্টলি এক্সপোজড করতে চাইলে আকাশের অংশ টুকু হয়ে যায় ওভার এক্সপোজড বা হাইলাইটেড। এ অবস্থা থেকে পরিত্রানের একটাই উপায় – গ্র্যাজুয়েটেড নিউট্রাল ডেনসিটি ফিল্টার বা GND ফিল্টার ব্যবহার করা। এই ফিল্টারের অর্ধেক সাধারণত কালো এবং বাকি অংশ ক্লিয়ার। ক্লিয়ার অংশ দিয়ে স্বাভাবিকভাবেই আলো প্রবেশ করে কিন্তু উপরের কালো অংশ দিয়ে ২ বা ৪ অথবা ৮ ষ্টপ কম আলো প্রবেশ করে। ফলে ছবির ওভারঅল এক্সপোজার (দিগন্ত রেখার উপরের এবং নিচের অংশের) এ একধরণের ব্যালান্স তৈরী হয়।

বাংলাদেশে এই এনডি ফিল্টার খূব সহজলভ্য না। আবার ভাল মানের এনডি ফিল্টারের দামও অনেক। আবার অনেক সময় হয়তো দেখা যায় ফিল্টার আছে কিন্তু সাথে করে নিতে মনে ছিলো না। আপনার যদি গ্র্যাজুয়েটেড এনডি ফিল্টার না থাকে বা সাথে করে নিয়ে যেতে ভুলে যান, তখন এই ট্রিকস ব্যবহার করতে পারেন। আপনার দরকার হবে কালো এক টুকরা কাগজ। একটু স্লো শাটার স্পিড দিয়ে আপনি এই কালো কাগজটি লেন্সের সামনে মাঝ বরাবর এমনভাবে ধরবেন যাতে দিগন্ত রেখার উপর আকাশের অংশটি ঢেকে যায়। এরপর শাটার বন্ধ হওয়ার কিছুক্ষণ আগেই কাগজটি সরিয়ে ফেলতে হবে। তারমানে নিচের অংশ যতটুকু আলো প্রবেশ করেছে উপরের অংশ দিয়ে তার চাইতে কম আলো প্রবেশ করেছে। ফরে মোটামুটি ব্যলান্সড একটি এক্সপোজার পাবেন। কাগজ কতক্ষণ পর সরিয়ে নিবেন সেটি আসলে ট্রায়াল এন্ড এরর পদ্ধতিতে বের করতে হবে।

কালো কাগজ সাথে নেই ? এর ও একটি বিকল্প আছে। আপনার ক্যামেরার ষ্ট্র্যাপ কালো কাগজের পরিবর্তে ব্যবহার করে দেখতে পারেন। তবে সাবধান, কাগজ বা ক্যামেরা ষ্ট্র্যাপ যাই ব্যবহার করেন না কেন, ক্যামেরা বা লেন্সে ধাক্কা লেগে যাতে শেক তৈরী না হয় সেদিকে একটু সতর্ক থাকবেন।

সাথে সানগ্লাস থাকলে সেটাও লেন্সের সামনে ধরে চেষ্টা করে দেখতে পারেন।

হ্যাপি ক্লিকিং …

Featured Image : Kittenমূল ছবিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন
Shot with Nikon D7100, AF-S 55-200mm, Aperture f/5.6, Shutter Speed 1/60 sec, ISO 800
মূল ছবিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।